শুধু আজহার নয়, কাদের মোল্লা-মীর কাশেমসহ ৮ মামলা পুনরালোচনার হুঙ্কার ঢাবি শিবির সভাপতির
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। শুধু আজহার নয়, আব্দুল কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেম আলীসহ ৮ মামলা পুনরালোচনার হুঙ্কার দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ।
আজ মঙ্গলবার (২৭ মে) ফেসবুকে নিজের আইডিতে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন তিনি ।
পোস্টে এস এম ফরহাদ লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। ছাত্রশিবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি এটিএম আজহার ভাই মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।’
তিনি আরও লেখেন, ‘শুধু এইটুকুতেই থেমে গেলে হবে না; আব্দুল কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, মীর কাশেম আলী, সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী, আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাইদী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, মতিউর রহমান নিজামী এবং অধ্যাপক গোলাম আজমসহ সকল মজলুম শহীদ নেতৃবৃন্দের মামলা আবারও জাতির সামনে উন্মোচিত করতে হবে, জাতিকে এই আওয়ামী নাটকীয় বিচারের সবকিছুই জানাতে হবে।’
আরও পড়ুন: সাত কলেজের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ শিগগিরই, কমতে পারে আসন
পোস্টে মোছা. সিদরাতুল মুনতাহা মাহী নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। আজ প্রমাণ হয়েগেছে অন্যায় ভাবে ইসলাম পন্থীদের হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা।’
রায়হান মানিক নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ মহান আল্লাহ নিকটে শুকরিয়া আদায় করছি
আমাদের প্রিয় এটিএম আজহারুল ইসলাম ভাইয়ের মুক্তি হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তাকে নেক হায়াত দান করুন আমীন !!!’
মো. শান্ত হাসান নামে আরেকজন মন্তব্য করেন, আলহামদুলিল্লাহ। মাজলুমের বিজয় হয়েছে। আল্লাহর দরবারে কোটি কোটি শুকরিয়া।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে রংপুরে সংঘটিত গণহত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধে আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড ও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরবর্তী সময়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তিনি রিভিউ আবেদন করেন, যেখানে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ১ হাজার ২২৪ কোটি টাকা পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা
চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তার আপিল শুনানির অনুমতি দেন। এরপর নিয়মিত আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেন আদালত, যেখানে তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।