০৭ মার্চ ২০১৯, ১৩:৪৭

যৌন হয়রানি রোধে সেল গঠন ও শাস্তির বিধান করবেন শফিক

শফিকুল ইসলাম  © টিডিসি ফটো

প্রায় ২৮ বছর পর আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন শফিকুল ইসলাম। তার ব্যালট নম্বর ১৯। স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আদর্শ উচ্চ শিক্ষায়তন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে ইশতেহার ঘোষণা করেছেন তিনি।

এতে ছাত্রী নিপীড়ন ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নিপীড়ন বিরোধী শক্তিশালী সেল গঠন ও কার্যকর করে কঠোর শাস্তির বিধানসহ নানা কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন শফিকুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে  ফেসবুক প্রোফাইলে তিনি এ ইশতেহার ঘোষণা করেন।

শফিকুল ইসলামের ইশতেহার:

#হলের গেস্টরুম নামক অপসংস্কৃতি চিরতরে বন্ধ করা হবে। তবে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থীদের পরিচিতি পর্ব (ওরিয়েন্টেশন) অনুষ্ঠিত হবে।

#গণরুম পদ্ধতি রদ করে শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত আবাসন ব্যবস্থা করা হবে। মেধার ভিত্তিতে হলে সিট বরাদ্দ ব্যবস্থ কার্যকর করা হবে। বহিরাগতদের হল থেকে বের করা হবে।

#হলগুলোর ক্যান্টিন-সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হবে। ৫০ টাকায় দুই বেলা পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থাসহ ক্যাম্পাসের হল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুপেয় পানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। স্বল্পমূল্যে বিকেলে হল ক্যান্টনে নাস্তা ব্যবস্থা চালু করা হবে।

#রাত ১২টার পর আবাসিক হলের করিডোরে কোনো স্লোগান বা কর্মসূচি পালনা করতে বিধি নিষেধ চালু।

#ক্যাম্পাসে বিনামূল্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে।

#ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ এবং উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন করা হবে।

#শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্রীড়া প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হবে।

#ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় প্রশাসনের পাশাপাশি ডাকসুর বিশেষ পেট্রোল টিম গঠন। ক্যাম্পাস থেকে ভয়ের সংস্কৃতি দূর করা হবে।

#ডাকসুর ফান্ডে জমাকৃত টাকা থেকে ২০ ভাগ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষাবৃত্তি চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কোনো শিক্ষার্থীর যেনো লেখাপড়া আর্থিক অভাবে বন্ধ না হয়।

#ছাত্রী নিপীড়ন ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নিপীড়ন বিরোধী শক্তিশালী সেল গঠন ও কার্যকর করে কঠোর শাস্তির বিধান করা হবে।

#শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিবহন ফি হ্রাস করে বিভিন্ন রুটে রাত ৯টা পর্যন্ত বাস চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে।

#শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা হবে।

#মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ওপর ষান্মাসিক উন্মুক্ত বিতর্ক ও রচনা প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হবে।

#এমফিল-পিএইচডিসহ গবেষণা খাতে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গবেষণা বরাদ্দ এবং বৃত্তি বাড়ানো হবে।

#হলের লাইব্রেরিগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার পাশাপাশি সিসি-ক্যামেরা ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। সেইসাথে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিকে আধুনিক ও ডিজিটাল করা হবে।

#যত্রতত্র খোলা স্থানে বিল্ডিং নির্মাণের পরিবর্তে বসার ব্যবস্থা ও দৃষ্টিনন্দন করা হবে।

#ডাকসুর উদ্যোগে প্রতিবছর বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করা হবে। ঢাবি ক্যাম্পাসকে সবুজায়ন করা হবে।

#মাদক ও ধুমপান মুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

#ক্যাম্পাসের ধর্মীয় উপসনালয় বিনির্মাণ ও আধুনিক করা হবে।

#ক্যাম্পাসে লোডশেডিং বন্ধে উদ্যোগ নেয়া হবে।

#রাজধানীর ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে এবং সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল।

#ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

#ঢাবির এফ রহমান এবং অমর একুশে হল সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়ি সরানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।