ডাকসুতে বিজয়ী হয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য কাজ করতে চায় রবিউল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়বে দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম। এ জন্য সূর্যসেন হল থেকে ইতোমধ্যে মনোনয়নও সংগ্রহ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২য় বর্ষের এ ছাত্র। নির্বাচিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবেন তিনি। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ও স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করতে চান। শনিবার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান রবিউল। নির্বাচনে জয়ের ব্যপারেও শতভাগ আশাবাদী তিনি।
এদিকে, ডাকসু নির্বাচনে রবিউলকে জয়ী করতে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে তার বন্ধুরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের একটি সার্কেল রবিউলের পক্ষে ঘরোয়া পরিবেশে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলছেন। এসব শিক্ষার্থীদের একজন বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সৈয়দ সাকিব আলম। রবিউলের নির্বাচনী প্রচারণার বিষয়ে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা বিভিন্ন হলের বন্ধুরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়েছি এবং রবিউলকে ডাকসুতে জয়ী করে আনতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সে খুবই ভালো ছেলে। আমারা আশা করি রবিউল বিজয়ী হলে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবে।
ডাকসুতে বিভিন্ন সম্পাদকমণ্ডলীর পদ থাকলেও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কথা বলার বা তাদের জন্য প্রতিনিধিত্ব করার কোন পদ রাখা হয়নি। তাই সাধারণ পদ থেকেই প্রতিনিধিত্ব করে বিজয়ী হতে চান রবিউল।
রবিউলের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রাম। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ ওয়াসিম এর একমাত্র সন্তান। কেন ডাকসুতে অংশগ্রহণ করতে চান জানতে চাইলে রবিউল বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করার। এ ক্ষেত্রে ডাকসু একটি বড় প্লাটফর্ম। আমি আশা করি ডাকসুতে নির্বাচিত হলে বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে কাজ করতে পারবো। ডাকসু নির্বাচনে কোন প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিভিন্ন প্যানেল থেকে আমার সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চাই।
নির্বাচনে জয়ের ব্যপারে শতভাগ আশাবাদী থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন রবিউল। তিনি বলেন, সবাই আমাকে খুব ভালোবাসে। আশা করি আমি নির্বাচিত হতে পারব। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে নির্বাচন ঘিরে কারো উপর যেন টর্চার করা না হয়। সবাই যেন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারে আমি সেটাই চাই।