০৬ মে ২০২৫, ২২:৩১

রাবিতে তিন হলের সংস্কারে ছাত্রশিবিরের ৫৩ দফা প্রস্তাব

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ৫৩ দফা সংস্কার প্রস্তাব শিবিরের   © টিডিসি ফটো

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তিনটি আবাসিক হল—মতিহার, সৈয়দ আমীর আলী ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করতে ৫৩ দফা সংস্কার প্রস্তাবনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবির। হলগুলোর পরিবেশ উন্নয়ন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষার্থীবান্ধব আবাসন গড়ে তুলতে এই দাবিসমূহ উত্থাপন করেছে সংগঠনটি।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০২৪ সালের আন্দোলনের পর শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ছিল, হল প্রশাসন দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু বাস্তবে আশানুরূপ পরিবর্তন না আসায় সংগঠনটি হলভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী পৃথকভাবে দাবি তুলে ধরেছে।

ছাত্রশিবিরের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, রিডিং রুমের আধুনিকায়ন, স্থান বৃদ্ধি ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা; গেস্টরুম, টিভি রুম ও গেমস রুম সংস্কার; নিষ্ক্রিয় লাইব্রেরি ও ডিবেট ক্লাব পুনরায় চালু; গণরুমে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের দ্রুত সিট বরাদ্দ ও নতুন গণরুমের ব্যবস্থা। এছাড়া ডাইনিং ও ক্যান্টিনে মানসম্মত খাবার সরবরাহ, নিয়মিত তদারকি, বৈদ্যুতিক পানির ফিল্টার স্থাপন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে নিরাপদ সাইকেল গ্যারেজ নির্মাণ, পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, মসজিদে এসি স্থাপন ও পুরাতন ফ্যান পরিবর্তন, হলের সার্বিক নিরাপত্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ, উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে, মানসম্মত লন্ড্রি পরিষেবা চালু, জিমনেসিয়াম সচলকরণ, ছায়াদানকারী বৃক্ষরোপণ, দেয়ালচিত্র ও আলোকসজ্জার মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন, কনফেকশনারি দোকান স্থাপন, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ, ক্যারিয়ার গাইডলাইনসংক্রান্ত কর্মসূচি এবং প্রাক্তনদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে পুনর্মিলনী আয়োজন।

আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবি থেকে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ

এ বিষয়ে মতিহার হল শাখা শিবিরের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা যে দাবিগুলো উত্থাপিত করেছি সেগুলো সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি। প্রভোস্ট স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন। স্বল্পমেয়াদি সংস্কারের কাজগুলা তিনি হাতে নিয়েছেন। যেগুলো দীর্ঘমেয়াদি কাজ, সেগুলোও তিনি আস্তে আস্তে শুরু করবেন।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রসংগঠন হিসেবে যতটুকু সম্ভব, আমরা সংস্কারের কাজগুলোতে সহায়তা করব। মতিহার হল কে একটি আধুনিক ও শিক্ষার্থীবান্ধব হল হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা বদ্ধপরিকর।