১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:০৫

জুলাই ঘোষণাপত্র এখনও প্রস্তুত হয়নি কেন, সরকারের কাছে ব্যাখা চান আখতার

জুলাই ঘোষণাপত্র এখনও প্রস্তুত হয়নি কেন, সরকারের কাছে ব্যাখা চান আখতার
আখতার হোসেন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির লোগো   © টিডিসি সম্পাদিত

জুলাই ঘোষণাপত্র এখনও প্রস্তুত হয়নি কেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তার ব্যাখা চান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরিতে নির্ধারিত সময়সীমার অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হলে এর যুক্তিসংগত কারণ জনগণের সামনে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি জানান, আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র প্রস্তুত না হলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

এর আগে গত ৩১ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র পাঠ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা করে এই ঘোষণাপত্র তৈরি করবেন। 

সরকারের এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠের কর্মসূচি পরিবর্তন করে একই স্থানে একই সময়ে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করেন। ওই কর্মসূচি থেকে তারা সরকারকে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরির জন্য ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেন। 

আগামী ১৫ জানুয়ারি আসতে আর মাত্র দুইদিন বাকী। এর মধ্যে সরকার জুলাই ঘোষণাপত্র উন্মোচন করার সম্ভাবনা কম বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা দাবি জানিয়েছি ১৫ জানুয়ারীর মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র দেওয়ার জন্য। সরকারের যদি অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হয় তাহলে কি কারণে সময় প্রয়োজন তা আমাদের কাছে যুক্তিসংগত কারণ দেখাবেন। সে ক্ষেত্রে সময় বাড়াবো নাকি কমাবো আমরা আগামী ১৫ জানুয়ারি সিদ্ধান্ত নিব।’

এদিকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র আদায় করতে না পারাটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যর্থতা বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে। 

পলিটিক্যাল অ্যাক্টিভিস্ট আব্দুল্লাহ হিল বাকী তার ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে লিখেছেন, ‘আজকে ১৩ জানুয়ারি। নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিল। আপনাদের কি মনে হয় ১৫ তারিখ পর্যন্ত কিছু হবে? যদি ঘোষণাপত্র না দেয়া যায় তাহলে এটাকে কি সংগঠন দুটির ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে? ঘোষণাপত্র দেয়া না গেলে বা এটার পিছনে কেউ যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাহলে কারা বাঁধা দিলো সেসব কি প্রকাশ করা হবে?’

সেই পোস্টে আরিফুল ইসলাম আবির নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘এর আগেও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ইস্যুতে পিছিয়ে এসেছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে রিট করে পিছিয়ে এসেছে, সংবিধান ইস্যুতে পিছিয়ে এসেছে, এবার ঘোষণাপত্র ইস্যুতে পিছিয়ে আসলে চূড়ান্ত দুর্বলতা প্রকাশ পাবে।’