বৈষম্যবিরোধী ও নাগরিক কমিটির নেতাদের হাতাহাতি
পিরোজপুরে ৭ দফা দাবিতে পৃথকভাবে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে এসময় শহরের টাউন ক্লাব চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শাহনেওয়াজ অভি, রোদায়ান রিয়াদ, এমরান আহম্মেদ, আসমা আক্তার মিতু ও জামান ইসলামের নেতৃত্বে ছাত্র প্রতিনিধিদের একটি দল শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে লিফলেট বিতরণ শুরু করে। তারা শহরের দোকানপাট ও পথচারীদের মাঝে বৈষম্যবিরোধী বার্তা পৌঁছে দেন।
জানা যায়, কেন্দ্র থেকে দেশজুড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে লিফলেট বিতরণ এবং জনসংযোগ করার সিদ্ধান্ত নিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা দেশজুড়ে কেন্দ্রঘোষিত সূচি মেনে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ দুপুরে পিরোজপুর শহরে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি লিফলেট বিতরণ করে। লিফলেট বিতরণ শেষে দুই পক্ষই শহরের টাউন ক্লাব মাঠে জড়ো হয়ে আলোচনা সভা করে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আরও জানা যায়, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের মতবিনিময় সভায় পিরোজপুর জেলা শাখার কমিটি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পিরোজপুরে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শাহরিয়ার আমীন সাগর ও মুসাব্বির মাহমুদ সানি নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক দাবি করলে তাদের মেনে নেননি সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে যায়। একটি গ্রুপ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং অন্য একটি গ্রুপ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করে।
নেতৃবৃন্দরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি যৌথভাবে সারাদেশে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে গণসমাবেশ করবে। সকল শ্রেণির জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে এই জনসংযোগ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সোবহান বলেন, লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।