কুবিতে জাতীয় নির্বাচন

শঙ্কায় সাধারণ শিক্ষার্থী, ভাবনাহীন ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতারা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ভোটের বাকি মাত্র ১০দিন। দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে আছে নির্বাচনী আমেজ। টঙ দোকানগুলোতে চায়ের কাপে প্রতি চুমুকের সাথে চলে নির্বাচনী আলাপ। এছাড়া পথে, ঘাটে সর্বত্রই ভোটের হাওয়া। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেই একই চিত্র। ক্যাম্পাস, ক্যাফেটেরিয়া, আবাসিক হল, শহীদ মিনার, টঙ দোকান, হোটেলসহ সব জায়গায় শিক্ষার্থীদের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন। যদিও নির্বাচনী ভাবনায় বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতাদের বক্তব্য। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা শঙ্কায় থাকলেও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতারা।

তথ্যমতে, বর্তমানে দেশের প্রায় ২২ শতাংশ ভোটারের বয়স ১৮ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে। নতুন ভোট দেবেন প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ। তরুণ ভোটারদের অধিকাংশই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। নির্বাচনে জয়ের ক্ষেত্রে এ তরুণ ভোটাররাই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে অনেকে মনে করেন।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, অনেকেই এবার প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে হবে সে আশা রাখছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন বলেন, ‘এবার প্রথম ভোট দিব। আশা করি সুষ্ঠুভাবে কেন্দ্রে ভোট দিতে পারবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ দীর্ঘ এক দশক পর সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। দেশের সব ভোটার যাতে নিজেদের যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে সে পরিবেশ বজায় থাকুক।’

২য় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল রানা বলেন, ‘ভোট নিয়ে খুবই এক্সাইটেড (কৌতূহলী)। তবে ভোট দিতে পারব কি-না, তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কিতও। জীবনের প্রথম ভোটটা যোগ্য প্রার্থীকেই দিব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ জানান, ‘প্রচারণার শুরু থেকেই ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকায় নেতা-কর্মীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করেছি। মানুষের কাছে সরকারের সাফল্যগুলোকে পৌঁছে দেবার চেষ্টা করেছি। ক্যাম্পাস বন্ধ হলে শাখার নেতা-কর্মীরা সবাই নিজ নিজ এলাকায় প্রচারণা চালাবেন।’ দেশের উন্নয়নে আবারও মানুষ নৌকাকে জয়ী করবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

তবে শাখা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারি দল জায়গায় জায়গায় পথসভা করে, কিন্তু আমরা গণসংযোগ তো দূরে থাক এক কাপ চা পর্যন্ত খেতে পারিনা। গ্রেফতার আতঙ্কে দিন কাটাতে হয়। আমাদের নেতা-কর্মীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে।’ তবে নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলে এবার বিএনপি ক্ষমতায় আসবে বলে আশাবাদী ছাত্রদল। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ইনশাআল্লাহ আমাদের জয় হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ