ইবিতে ‘সান্ধ্য আইন’ বাতিলের দাবি ছাত্র ইউনিয়নের
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য জারিকৃত ‘সান্ধ্য আইন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছে শাখা ছাত্র ইউনিয়ন। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ছাত্র ইউনিয়নের ইবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়। এতে ‘সান্ধ্য আইন’ বাতিলের দাবি জানান শাখার সভাপতি মাহমুদুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক নুর আলম।
এতে বলা হয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের ১৪০তম সভায় সদ্য ঘোষিত ‘সান্ধ্য আইন’ সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র ইউনিয়নের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। আইনে ছাত্রদের জন্য রাত ১১টার মধ্যে হলগেট বন্ধ করে দেয়া হবে এবং ছাত্রীদের মাগরিবের নামাজের ১৫ মিনিটের মধ্যে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ আইন শিক্ষার্থীদের মৌলিক স্বাধীনতা ও তাদের জীবনযাত্রাকে সীমাবদ্ধ করার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে তারা বলেন, ছাত্র ইউনিয়ন সব সময় শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে। কোনো ধরনের শৃঙ্খলা বা নীতির নামে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা হরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।
আরো পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত আরও একজনের মৃত্যু
একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাধীন চিন্তা, মতপ্রকাশ এবং নিজেদের জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে পারে, সে ধরনের পরিবেশ তৈরি করা উচিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদ্য ঘোষিত সন্ধ্যা আইন শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে এবং একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।
তারা আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ আইন বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও স্বার্থের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে। ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ আগামী দিনে এ আইন বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সব ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে।
নেতারা সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানান, যেন তারা এ বিষয়ে আরও সচেতন থাকে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করে।