বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ দফা দাবি
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট ৪ দফা দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের ১২ প্রতিনিধি এ স্মারকলিপি দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুপ্ত-হত্যা ও হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সারা দেশের ছাত্রসমাজ। অতীতে বেশকিছু ইস্যুতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের নমনীয়তাকেই আজকের এহেন পরিণতির কারণ হিসেবে মনে করে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদার করে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিম্নোক্ত ৪ দফা দাবি পেশ করা হলো—
১) একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে, যার দায়িত্ব হবে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ বা বিগত রেজিমের আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোনো যোগসূত্র আছে কি না, তা বের করা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
২) প্রতিটি থানায় কমপক্ষে ৫টি টহল গাড়ি ২৪/৭ টহলে থাকতে হবে, তারা ক্রাইম পেট্রোলিং করতে থাকবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আশেপাশে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে।
৩) প্রতিটি ওয়ার্ড এরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে কমপক্ষে ৪ সদস্য বিশিষ্ট নন-লিথ্যাল ওয়েপন-ধারী একটি প্লাটুন বা টিম নিযুক্ত করতে হবে, তারা ওই নির্দিষ্ট এলাকার পাহারার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবে। এদের সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪) বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধকরণের পরও এই জঙ্গি সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট অনলাইনে ও ময়দানে সক্রিয় সকল নেতাকর্মী এবং তাদের সহযোগীদের নির্মূল করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্সের কার্যক্রমকে বেগবান করতে রাষ্ট্রের সকল গোয়েন্দা সংস্থার তৎপর ভূমিকা পালন করতে হবে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, এই দাবিগুলো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে।