২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:১৮

‘ঢাবির ৯ শতাধিক অবৈধ শিক্ষক, ছাত্রলীগপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করতে হবে’

  © সংগৃহীত

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রায় ৯ শতাধিক অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছে। তাদেরকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। ছাত্রলীগের অনেক ক্যাডাররা (কর্মকর্তা-কর্মচারী) রেজিস্টার বিল্ডিংয়ে চাকরি পেয়েছে, বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োগ পেয়েছে। এদেরকেও চাকরিচ্যুত করতে হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ছাত্রলীগ মুক্ত করতে হবে।

আজ রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে ডাকসু ভবনের মূল ফটকের সামনে  ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মী ও ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূরের ওপর হামলা চালানো ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের বিচার ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবিতে প্রতিবাদ সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক সংগঠন পরিবেশ পরিষদকে বাতিলের দাবি জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, আমি প্রশ্ন রাখতে চাই, এই গণঅভ্যুত্থানে পরিবেশ পরিষদ নামক ভূঁইফোঁড় সংগঠনের  ভূমিকাটা কী? এই ১৫ বছরে তাদের ভূমিকাটা কী? এই পরিবেশ পরিষদ বাতিল করতে হবে। ছাত্র অধিকার পরিষদের মতো যারা উদীয়মান সংগঠন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করে নতুন পরিষদ গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থানের পর কোন প্যানেল ভিত্তিক ডাকসু নির্বাচন করা যাবে না। যাদের যোগ্যতা আছে তারা প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে ডাকসুতে নির্বাচনে দাঁড়াবে। প্যানেলের দুই একজনের জনপ্রিয়তার কারণে সবাই ভোট পেয়ে যায়। আর বাকি যারা যোগ্য ছাত্রনেতা তারা নির্বাচিত হয় না। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলবো যে আপনারা প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচনের সুযোগ দিবেন না। তবে তার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, ঢাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সানাউল্লাহ প্রমুখ।