জনগণের নিরাপত্তা ও শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতের দাবিতে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ
সারাদেশে অব্যাহত হত্যা, গুপ্তহত্যা, শ্রমিকদের উপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ও নাগরিক নিরাপত্তা নস্যাতের প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি অপরাজেয় বাংলা, সেন্ট্রাল মসজিদ হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে রাগীব নাঈম বলেন, ছাত্র-শ্রমিক- মেহনতি মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা, ভাত-কাপড়ের নিরাপত্তা দিতে না পারলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ যদি মনে করেন শুধু চাকরীতে বৈষম্যই একমাত্র বৈষম্য তাহলে ভুল ভাবছেন। জনগণের অথর্নেতিক সাম্য নিশ্চিত করাই গণঅভ্যুত্থানের মূল আকাঙ্খা। সরকার যদি জানমালের নিরাপত্তা দিতে না পারে তবে আমাদের কাছ থেকে পাঠ নিয়ে যান।
এসময় ঢাকা মহানগরের কোষাধ্যক্ষ আর্দিতা রায় বলেন, আমাদের রক্তের উপর গণ-অভ্যুত্থানের এই সরকার প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সরকার যেভাবে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে তাতে আমরা এই সরকারকে ছেড়ে কথা বলবো না।
সারাদেশে শিক্ষার্থীরা গুপ্তহত্যার স্বীকার হচ্ছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য বলেন, শ্রমিকদের ছাঁটাই করে তাদের উপর দমন-পীড়ন করা হচ্ছে কিন্তু তাদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে না। এই সরকার যদি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করে জনগণ আওয়ামী লীগের সরকারের মতই তার জবাব দিবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক কেএম আব্দুল্লাহ আল নিশাত জানান, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ছাত্র জনতার রক্তের উপর দাঁড়িয়ে 'হিমু উপদেষ্টা' হয়ে আছেন। উনি শুধু দেখছেন, ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। জনগণের জানমাল, শ্রমিকের কর্মসংস্থান দিতে না পারলে দায়িত্ব ছেড়ে দিন। আপনাদের বাজার সিন্ডিকেট ভাঙার দায়িত্ব দিয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের শক্তির কাছে বাজার সিন্ডিকেট শক্তিশালী হয়ে যায় কিভাবে!