মহান বিজয় দিবসে শহীদদের স্মরণে ছাত্রপক্ষের শ্রদ্ধা নিবেদন
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রপক্ষ। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়।
সোমবার (১৬ই ডিসেম্বর) ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স ও সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝরের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহাম্মদ প্রিন্স বলেন, "একাত্তর থেকে চব্বিশ—ছাত্র ও জনতা বারবার লড়াই করেছে বৈষম্যের বিরুদ্ধে। দুই হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। এখন সময় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। ছাত্রপক্ষ নতুন প্রজন্মের ছাত্র সংগঠন হিসেবে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এবং ভবিষ্যতেও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে রাজপথে থাকবে। আবু সাইদ, মুগ্ধ, ওয়াসিমের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।"
ছাত্রপক্ষের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম নির্ঝর বলেন, "একাত্তরের এত রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন মানচিত্র পেয়েছি, কিন্তু স্বাধীনতার পর থেকে স্বদেশী স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট রেজিম বারবার আমাদের মানচিত্র খুবলে খেয়েছে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তের প্রতিশ্রুতি ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২৪ সালের বিপ্লবীদের রক্তের সাথে কেউ বেইমানি করার চেষ্টা করলে আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের মতোই পরিণতি বরণ করতে হবে। আমরা আমাদের জীবন থাকতে শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।"
ছাত্রপক্ষের অন্যান্য নেতৃবৃন্দও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম সৌরভ, মিডিয়া সেল প্রধান রাশেদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সহকারী দপ্তর সম্পাদক মেহেরীন আফরোজ মাইশা, কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক আলীফ আব্দুল্লাহ বিন নাসির, এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম, হোসাইন আহমেদ, হৃদয় আহমেদ সানী, আরিফুল ইসলাম মেহেদী, আহমেদ রাফি, খালেদ সাইফুল্লাহ।
ছাত্রপক্ষের নেতারা উল্লেখ করেন, শহীদদের আত্মত্যাগের লক্ষ্য—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।