১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:১৯

ছাত্রনেতারা গণরুম ব্যবস্থা জিইয়ে রেখে ছাত্রদের ব্যবহার করেছে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

  © সংগৃহীত

দলীয় রাজনীতিতে ছাত্রনেতারা গণরুম ব্যবস্থাকে জিইয়ে রেখে ছাত্রদেরকে ব্যবহার করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেছেন, যেখানে দলীয় রাজনীতিতে ছাত্র নেতাদের কথা বলা উচিত ছিল আসন সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায়, সেখানে দলীয় রাজনীতিতে আমরা দেখেছি ছাত্রনেতারা গণরুম ব্যবস্থাকে জিইয়ে রেখে ছাত্রদেরকে ব্যবহার করেছে। দলীয় রাজনীতিতে যেখানে ছাত্র নেতাদের উচিত ছিল লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া, সেখানে তারা লাইব্রেরি থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে এসে মধুর ক্যান্টিনে ভ্যানগার্ড দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘গণঅভ্যুাত্থান পরবর্তী ছাত্ররাজনীতি প্রশ্ন: নয়াস্বরূপ অনুসন্ধানের অভিপ্রায়’ শীর্ষক আলোচন সভায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, জনগণের খয়রাতের পয়সায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে জ্ঞান বিস্তার করা। মূল লক্ষ্যই হচ্ছে আপনার সুবিধার জনক চিন্তা গুলোকে পর্যাপ্ত ভাষা দিয়ে জ্ঞানভিত্তিক এবং গবেষণা ভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরি করা। কিন্তু বিদ্যমান যে দলীয় ছাত্ররাজনীতি রয়েছে তা আপনাকে ক্লাস মিস দিয়ে মধুর ক্যান্টিনে আসতে বাধ্য করেছে। দলীয় রাজনীতি আপনাকে রিডিং রুমে না নিয়ে গিয়ে নেতার পাশে গিয়ে হাততালি দিতে বাধ্য করেছে। দলীয় রাজনীতি আপনাকে আপনার রুমের সিট থেকে বঞ্চিত করেছে।

ক্যাম্পাসে লেজুরবৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির সমালোচনা করে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যখনই ৫ আগস্টের পর ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগ উৎখাত হয়েছে, তখনই কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট আবাসন সংকটের সমাধান হয়ে গেছে। তার মানে দলীয় ছাত্র রাজনীতি যে নামেই থাকুক না কেন সেগুলো শিক্ষার্থীদেরকে পুঁজি করে তাদের যে মাদার পার্টি সেই মাদার পার্টির পারপাসকে সার্ভ (উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন) করে।

তিনি বলেন, তাদেরকে এভাবে যুগের পর যুগ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ নেতা থাকবে এবং নেতা যা বলবে সেই ওহী ক্যাম্পাসে বাস্তবায়ন হবে। আমরা যখন ডিবেটে দলীয় ছাত্ররা নিয়ে নেতাদের সাথে কথা বলি, যে দলীয় ছাত্ররাজনীতি ক্যাম্পাসে কেন থাকবে, তখন তারা বলে ক্যাম্পাসে নাকি নেতা তৈরি হবে না। আপনি যদি ৪৮ দেখেন, ৭১ দেখেন, ৯০ দেখেন, ১৮ দেখেন, ২৪ দেখেন তাহলে দেখবেন ছাত্র রাজনীতির যতগুলো নেতা ছিল তারা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।

‘ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসি’র আহ্বায়ক শেখ মো. আরমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক মেঘমল্লার বসু, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা হৃদি প্রমুখ।