ছাত্রদল ডাকসু নির্বাচন চায়, তবে...
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ PM , আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ PM
আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ বা মাঝামাঝি নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ নিয়ে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
তিনি বলেছেন, ছাত্রলীগের বিচার সম্পন্ন করেই আমরা অচিরেই ডাকসু নির্বাচন চাই। কিন্তু অবশ্যই হলগুলোতে যারা ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী রয়েছে, যারা এখন সাধারণ শিক্ষার্থী বেশে অবস্থান করছে এবং সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে সেই বিষয়গুলো আগে সুরাহা করতে হবে।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে ‘ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের মানবাধিকার ভাবনা ও ছাত্র সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে শাখা ছাত্রদলের মানবাধিকার সেল। আলোচনায় বিশেষ অতিথি এর বক্তব্যে একথা বলেন।
ছাত্রদল সভাপতি রাকিব বলেন, এই ছাত্রদল বিগত সাড়ে ১৫ বছর শুধুমাত্র ডাকসু নির্বাচন কেন্দ্রিক বাস্তবতায় সামান্য সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ক্যাম্পাসে আসার সুযোগ পেয়েছে। এই সাড়ে ১৫ বছরে আমরা আমাদের ভালো কার্যক্রম দ্বারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। আমরা মাত্র কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের অবশ্যই সেই পরিবেশ দিতে হবে। যেন সেই পরিবেশে ছাত্রদল তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিকট পৌঁছাতে পারে। সেই বিষয়ে, সেই ধরনের পরিবেশ নিশ্চিতকরণের জন্য আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই।
তিনি বলেন, এই খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সত্যিকার অর্থে মানবাধিকার রক্ষায়, সকল ছাত্র সংগঠনের মানবাধিকার রক্ষায় এবং নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি প্রণয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আমরা বিগত সময়ের গতানুগতিক ছাত্র রাজনীতিকে এক পাশে রেখে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পর্যায়ে এবং ক্যাম্পাসে সত্যিকার অর্থেই একটি নতুন ধারার ছাত্র রাজনীতি প্রণয়ন করেছি।
বিগত চার মাসে এই ছাত্রদল দ্বারা সামান্যতম কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। যে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্টের আমলে প্রতিদিন প্রতি সপ্তাহে ঘটতো যেগুলো সংবাদ মাধ্যমে আসতো, কিছু আসতো না। গণরুম-গেস্টরুমসহ হল পর্যায়ের যে নির্যাতন, ক্যাম্পাস দখলের যে রাজনীতি ছিল সেগুলো পুরোপুরি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বলে এসময় তিনি দাবি করেন।