১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০৭

নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন 

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের মানববন্ধন  © টিডিসি

১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে পতিত সরকারের আমলে গুম-খুনের শিকার ছাত্রদলের সব নেতাকর্মী ও নাগরিকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মৃধা জুলহাসের সঞ্চালনায় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন বলেন, মানবাধিকার দিবস আমাদের জনগণের জন্য। কিন্তু বিগত দেড় যুগ ধরে স্বৈরাচার সরকার মানবাধিকারকে কুক্ষিগত করেছিল। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন গুমের মাধ্যমে ভয়ের সংষ্কৃতি গড়ে তুলেছিল। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটকে রেখেছিল। এমনকি কারা অন্তরীণ অবস্থায় তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত। 

এ ছাড়া বিগত ১৫ বছরে ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের গুম করে, খুন করে ক্ষমতা দখল করে রেখেছিল স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার। এখন সময় এসেছে সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় জন্য স্বেচ্ছার হওয়া। এর জন্য ছাত্র সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। খুনি হাসিনার ২৪-এর জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সর্বোচ্চ মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। আইনের লোকদের মাধ্যমে শত শত ছাত্র-জনতাকে খুন করেছে। এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ঢাকা কলেজ ছাত্রদল পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে খুনি হাসিনাকে ভারত থেকে দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায়। পরিশেষে দেশনায়ক তারেক রহমানের ওপর সব ফ্যাসিবাদী মামলা তুলে নিয়ে দেশে আসার ব্যবস্থা করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ ছাড়া মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন, সহসভাপতি পিয়াল হাসান, শাহাবুদ্দীন ইমন, রাশেদুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন ইশরাক সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। 

উল্লেখ্য, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের তথ্য বলছে, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শাসনামলে দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন। এ সময়ে গুম হন ৬৭৭ জন, কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন ১ হাজার ৪৮ জন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের তালিকাসহ ২০২৪ সালের ঘটনা যুক্ত করলে নিহতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যাবে।