‘তাড়াহুড়ো করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে নয় ছাত্রদল’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১৬ PM , আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ PM
তাড়াহুড়ো করে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্র সংগঠন স্বাভাবিক ধারায় রাজনীতি করতে সক্ষম হয়নি। এ সময়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংগঠনগুলোর দূরত্ব বেড়েছে এবং তারা সংগঠনগুলোর আদর্শ, কার্যক্রম ও পার্থক্য বুঝতে পারেনি।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, সংগঠনগুলোর মধ্যে গুণগত ও আদর্শিক পার্থক্য উপলব্ধি করার জন্য শিক্ষার্থীদের সময় প্রয়োজন। তাড়াহুড়ো করে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হলে, তা অর্থবহ হবে না।
নাছির উদ্দীন বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং আমাদের সাংগঠনিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সব সময় ছাত্র সংসদনির্ভর রাজনীতির পক্ষে। তিনি বিশ্বাস করেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সংসদভিত্তিক রাজনীতি অত্যন্ত কার্যকর। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারে এবং নিজেদের অধিকার রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।”
আরও পড়ুন: ২৪২ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি পেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল
২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের অভিজ্ঞতা অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল মন্তব্য করে এই ছাত্রনেতা বলেন, “সেই সময়ে আমরা দেখেছি, জাতীয় নির্বাচনের মতোই সেখানেও ভোট ডাকাতি হয়েছে। ব্যালট পেপার ছিনতাই, অনিয়ম এবং বিতর্কিত প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ভিপি ও জিএস ছাত্রদের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত হতাশার উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালুর দাবি নতুন করে উঠেছে, যা ইতিবাচক ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার একটি ভালো উদ্যোগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: চোখ হারানো ইমরানকে ফের আর্থিক সহায়তা দিল ছাত্রদল
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “আমরা ডাকসুসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চাই। তবে এই ক্ষেত্রে যৌক্তিক সময় এবং পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। দীর্ঘ ১৫ বছরের রাজনৈতিক শূন্যতার পর একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও কার্যকর নির্বাচনই শিক্ষার্থীদের প্রকৃত উপকারে আসবে। এটি ছাত্র রাজনীতিকে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক ধারায় ফিরিয়ে আনতে পারে।”