২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১৮

শহিদদের আত্মত্যাগের সাথে বেঈমানি জাতি সহ্য করবে না: ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল 

ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

জুলাই গণহত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে বিভাগীয় শহরগুলোতে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আজ ২৭ নভেম্বর (বুধবার) দুপুর ২ টায় জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ উপলক্ষ্যে এ মিছিল ও সমাবেশ হয়।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা যে ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, সেই চেয়ার শহীদদের পবিত্র রক্তে রঞ্জিত। সেই চেয়ারে বসে যদি ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখার কোনো ষড়যন্ত্র বা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তবে এই ছাত্রজনতা তা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করা হলে এই ছাত্রসমাজ উপযুক্ত এবং কঠোর জবাব দিতে কখনোই পিছপা হবে না।’

মিছিলটি মতিঝিলের শাপলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে আরামবাগ, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলা, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম ছাড়াও কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিজবাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলা উদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর পূর্ব মোজাফফর হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি ইকবাল হোসেনসহ ঢাকা মহানগরের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বক্তারা জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণ করে গণহত্যার দ্রুত বিচার চান।

সেক্রেটারি জেনারেল অভিযোগ করেন, ‘গণহত্যার বিচার ধীরগতিতে চলছে এবং অবৈধ সুযোগ-সুবিধা নিয়ে অনেক গণহত্যাকারীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা সুস্পষ্টভাবে শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি। শহীদদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যে ক্ষমতার আসনে বসেছেন, সেই শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানি করলে আমরা আপনাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।’

এ ছাড়াও তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচাররের দোসররা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে অকার্যকর করার পাঁয়তারা করছে, তারই অংশ হিসেবে গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ইসকনের সন্ত্রাসীরা শহীদ আলিফকে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যার দ্রুত বিচার দেখতে চাই।’

বিশেষ অতিথির বক্তেব্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পতিত স্বৈরাচারের দেশি-আন্তর্জাতিক দোসররা নানা রকম ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। নানা সময় নানা ছদ্মাবরণে তারা দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রশিবিরসহ ছাত্রসমাজ আজ ঐক্যবদ্ধ। তাদের কোনো ষড়যন্ত্র এদেশে বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবে না, ইনশাআল্লাহ।’

এছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর সভাপতিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। 

এদিকে একই দাবিতে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।