ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে শিক্ষার্থীকে মারধর করে থানায় দিল ছাত্রদল
ঢাকা কলেজের সাউথ হলের রিডিংরুমে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে থানায় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা বিরুদ্ধে। যদিও থানা থেকে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ না পাওয়া ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষার্থীকে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম ওমর ফারুক। তিনি কলেজটির ২০১৯-২০ সেশনের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রমতে, গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে সাউথ হলের রিডিং রুমে টেবিলে বসাকে কেন্দ্র করে মাস্টার্সের সিনিয়র কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে ভুক্তভোগী ওমর ফারুক বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। এসময় কেউ তাকে (ফারুককে) হল থেকে বের করতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়। পরে রিডিং রুমে অধ্যায়নরত সিনিয়র-জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যস্ততায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
তবে পরের দিন মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এ ঘটনার জেরে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ইদ্রিসের নেতৃত্বে শাখা ছাত্রদলের আন্তর্জাতিক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমন, দক্ষিণায়ন হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমু ও সাউথ হলের ২১৩ নং রুমের শিক্ষার্থী জব্বার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওমর ফারুককে ব্যাট ও স্টাম্প দিয়ে পিটিয়ে নিউমার্কেট থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগী ওমর ফারুক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাকে পেটানোর আগের দিন রিডিং রুমে ওনাদের সাথে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এছাড়াও হলের ডায়নিং নিয়েও ওনার সাথে আমার মতবিরোধ ছিল। তাই সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে তারা আমাকে ছাত্রলীগ পরিচয়ে পিটিয়ে থানায় দেয়। যদিও আমি থানা থেকে সেদিনই হলে ফিরে আসি।
অভিযুক্ত ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক ইদ্রিস জানান, মারধরের অভিযোগটি একদম ভুয়া ও ভিত্তিহীন। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্ট ছিল এবং আওয়ামী লীগের যে নিবার্চনী উপ-কমিটি থাকে সেখানে তার নাম ছিল। যদিও প্রথমে সে অস্বীকার করে কিন্তু পরে তা সে শিকার করে নেয়।
তবে ভুক্তভোগী ওমর ফারুক ছাত্রলীগ করার কোন প্রমাণ আছে কিনা তার কাছে জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী ওমর ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটিতে আমার নামের সাথে মিল রয়েছে কিন্তু আমার উপজেলা তিতাস। উপ-কমিটিতে দেয়া ব্যক্তির উপজেলা লাকসাম দেয়া। এর থেকেই বুঝা যায় তারা আমাকে সেদিনের ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই মারধর করা হয়েছে।
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি শাহীনুর রহমান শাহীন জানান, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা শুনেননি তিনি। উল্টো সেদিন কী ঘটেছিল সেটি এই প্রতিবেদকের কাছে এসময় জানতে চান তিনি।