ঢাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নিলেন ছাত্রলীগের দুই নেতা!
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ AM , আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৫ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক ও একাডেমিক এলাকায় সব ধরনের দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ সংক্রান্ত গণভোট আয়োজন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত ১০টার পর বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে। পরে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে জড়ো হন তারা।
এই কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের দুই নেতা অংশ নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নামে।
অভিযোগ উঠেছে, এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়াদের একজন ইশরাত জাহান সুমনা। তিনি ঢাবির শামসুন নাহার হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক ছিলেন বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে লেখালেখি করতেন বলেও দাবি করা হচ্ছে।
এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন ফোরকান আহমদ মহিউদ্দিন নামে আরেক ছাত্রলীগ নেতা। যাকে রাজধানীর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক সময়কার সভাপতি হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। বর্তমানে তিনি ঢাবিতে অধ্যয়ন করছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো পদ আছে কিনা সেটি জানা যায়নি, তবে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে তার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রয়েছে।
এদিকে, ছাত্রলীগের এই দুই নেতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন কিনা, বিষয়টি নিয়ে তাদরে কাছ থেকে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া দুটি ছবি এই দুইজনকে বিক্ষোভের সামনের সারিতে দেখা গেছে। তাবে সে সময় তারা দুইজন আলাদা ছিলেন।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদ ইসলাম কাজল ফেসবুকে লিখেছেন, রাজনীতি সচল থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল পোস্টার লাগিয়েছে। তার প্রতিবাদে রাতে মিছিল করছে ছাত্রলীগের সদস্যরা। কিন্তু তারা এখন ভিসির কাছে সাধারণ ছাত্র। এটা স্পষ্ট করে বলতে গেলে আবার অনেকের কাছে এটা ব্লেম গেম।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা ফেসবুকে লিখেছেন, এভাবে নিষিদ্ধ করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাবে সাধারণের নামে। সাধারণ দেখুক, কারা তাদের নাম নিয়ে তাদের মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খায়।