দেশব্যাপী নতুন সদস্য সংগ্রহের ঘোষণা ছাত্র ফ্রন্ট্রের
দেশব্যাপী নতুন সদস্য সংগ্রহের ঘোষণা দিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট। একজন শিক্ষার্থী ১০ টাকা শুভেচ্ছা মূল্যে অনলাইন ও অফলাইনে সদস্য ফর্ম পূরণ করে ছাত্র ফ্রন্টের সদস্য হতে পারবেন। গত ৩ নভেম্বর শুরু হয়ে এই কার্যক্রম পুরো ডিসেম্বর মাসজুড়ে চলবে। সার্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক ধারার সঙ্গে সহমত পোষণ করবে তারাই সংগঠনটির সদস্য হতে পারবেন।
আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানানো হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালমান সিদ্দিকী। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রগতি বর্মন তমা, অর্থ সম্পাদক নওশীন মোস্তারি সাথী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম, ঢাবি সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সদস্য সায়মা আফরোজ, পঙ্কজ নাথ সূর্যসহ অনেকে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জাগ্রত ছাত্র সমাজের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৪ সালে ২১ জানুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ সংগঠন ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সর্বজনীন, বিজ্ঞানভিত্তিক, সেক্যুলার, গণতান্ত্রিক, একই ধারার শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
বিগত সময়ে হাসিনা সরকার জ্ঞান-বিজ্ঞান-মনুষ্যত্ব ধ্বংসের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০২১ চালু করে। একমাত্র ছাত্র সংগঠন হিসেবে এটি বাতিলের দাবিতে আমরা সারাদেশে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-বুদ্ধিজীবীদের সংগঠিত করি। আন্দোলনের এক পর্যায়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার এটি বাতিলের ঘোষণা দেয়।
অতীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ছাত্রস্বার্থ বিরোধী সমস্ত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলো, আজও আছে। শিক্ষার বেসরকারীকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ-সংকোচন এবং সাম্প্রদায়িকীকরণের বিরুদ্ধে লড়াই, গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণের চেষ্টা, সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন বিরোধী লড়াই, জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দাবিতে আমরা লড়ছি।
এছাড়াও নারী নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন এবং পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলমান।