বিলুপ্ত সমন্বয়ক পদ, সাবেক হলেন ১৫৮ বৈষম্যবিরোধী নেতা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ১৫৮ সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কের পদ বিলুপ্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের মাধ্যমে সাবেক হলেন বৈষম্যবিরোধী এসব নেতারা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করে এক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এই কমিটি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা
সমন্বয়ক পদ বিলুপ্তের বিষয়ে আব্দুল কাদের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৫৮ সদস্যবিশিষ্ট সমন্বয়ক কমিটির কার্যকারিতা এখন আর থাকছে না। সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটি ৪ জনই এখন মূলত সংগঠনের, বাকিরা সাবেক। তারাই খুব শিগগির কমিটি পূর্ণাঙ্গ করবে বলে তিনি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ৫ আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন৷ পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়৷
আরও পড়ুন: এবার সমন্বয়ক ৪৯ জন, সহ-সমন্বয়ক ১০৯
জানা যায়, ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। এতে সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন ২৩ জন এবং বাকি ৪২ জনকে সহ-সমন্বয়ক হিসেবে রাখা হয়েছিল।
এরপর পরে ৩ আগস্ট ১৫৮ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিতে সমন্বয়ক ছিলেন ৪৯ জন আর সহ-সমন্বয়ক ছিলেন ১০৯ জন। সমন্বয়ক কমিটিতে যাদের নাম ছিল, তারা সবাই ঢাকাসহ দেশের প্রথম সারির সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ কমিটিতে ১নং সমন্বয়ক হিসেবে ছিলেন নাহিদ ইসলাম। এরপর ছিলেন সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার ও আব্দুল কাদেরের নাম। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে অন্য সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের নাম।