রাষ্ট্রপতি পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের ঘেরাও করে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে জুলাই বিপ্লব ভিত্তিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মিছিল নিয়ে বঙ্গভবনের সামনে এসে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এসময় একই দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র জনতা মঞ্চ এবং ৩৬ জুলাই পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠন।
কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা ‘শহীদেরা দিচ্ছে ডাক মুজিববাদ নিপাত যাক’, ‘ছাত্রলীগ না জঙ্গিলীগ? জঙ্গি লীগ জঙ্গি লীগ’, ‘চুপ্পু খেদাও বিপ্লব বাঁচাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মানববন্ধনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের মধ্য দিয়ে ১৯৭২ সাল থেকে ২০২৪ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৩ বছরের সকল ঘুম খুন বিচারবহির্ভূত হত্যা কে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এ সংবিধানের মাধ্যমে পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেয়া হয়েছে ,শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।আমরা যদি তখন পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে থামাতে পারতাম তাহলে শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হতো না। শাপলা চত্বরে ঢাকা শহরের ইলেক্ট্রিসিটি বন্ধ করে মিডিয়ার ক্যামেরা বন্ধ করে আমার ভাইদের নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন এই সংবিধান তো সংবিধান নয় এটি আওয়ামী লীগের নিজস্ব ম্যান্ডেট। ৭২ এর সংবিধান বাতিল করতে হবে এই সংবিধান জনতার নয় বাংলাদেশের নয়। এই সংবিধান রচনার জন্য যারা পার্লামেন্টে বসে ছিল বাংলাদেশের মানুষ তাদেরকে এটি রচনার বৈধ ম্যান্ডেট দেয়নি সেই সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নামে শাহাবুদ্দিন চুপ্পু নামের কোন চাটুকার রাষ্ট্রপতিকে আর একদিনও বঙ্গভবনে রাখতে দেয়া হবে না।
তিনি আরো বলেন, লক্ষণ সেনের পরে গত ৭০০ থেকে ৮০০ বছরে বাংলাদেশের শেখ হাসিনা ব্যতীত আর কোন শাসক পালিয়ে যায়নি। লক্ষণ সেন পালিয়ে গেলেও তার কোন পদত্যাগ পত্রের প্রয়োজন হয়নি। শেখ হাসিনা হল লক্ষণ সেনের বোন। লক্ষণ সেনের পরে বাংলাদেশের জনগণকে এতিম করে শায়েস্তা করে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো। শেখ হাসিনা যদি পদত্যাগ করত তাহলে আমরা তার পথ দেখপত্র চাহিদা কিন্তু সে তো পদত্যাগ করেনি আমরা তার পতন করিয়েছি। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে তারপরও ত্যাগের জন্য বাংলাদেশের মানুষ বসে নেই।
তিনি মানবজমিনের সম্পাদক মতিউর রহমান কে লক্ষ্য করে বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও আপনি কোন কারণে রাষ্ট্রপতির নিকট শেখ হাসিনার পদত্যাগের লিগ্যাল ডকুমেন্ট চাইতে গেলেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে, তার কোন পদত্যাগ পত্রের প্রয়োজন নেই।