মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, আলটিমেটামের পর গ্রেপ্তার ৩৮
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ৩৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার রাত পর্যন্ত তাদের আটক করে নগরীর ১৬টি থানার পুলিশ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে দায়ের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল করলে তাদের ধরার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার রাত পৌনে ১টার দিকে নগরের জামালখান এলাকায় ২০ থেকে ৩০ যুবক আকস্মিকভাবে মিছিল বের করেন। তারা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’– এমন নানা স্লোগান দেন। রাতেই মিছিলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও ভিডিওটি প্রচার করা হয়। এর পরই বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয় ছাত্র-জনতা।
পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিয়ে মিছিল করার প্রতিবাদ জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতাকর্মীরা। পরদিন তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন এবং মিছিলকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। এ সময় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে ধরতে ব্যর্থ হলে সিএমপি কমিশনারকে পদত্যাগ করারও দাবি জানানো হয়।
গ্রেপ্তার ৩৮ জনের মধ্যে সাতজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন– রাকিবুল ইসলাম, ইমরান হায়দার, মহিউদ্দিন ওরফে মাঈনুদ্দিন, বেলাল হোসেন আজাদ, সাইমন, টুটুল ও বাচ্চু মিয়া। তাদের মধ্যে রাকিবুল ইসলাম, ইমরান হায়দার, মহিউদ্দিন ও বাচ্চু মিয়া ওই মিছিলে ছিলেন বলে জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার ওসি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মিছিলকারী, ৫ আগস্টের আগে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের মামলার আসামিও রয়েছেন। তাদের সবাইকে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।