ছাত্রদল নেতা তারেকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে শরীরে ৫০০ গুলি থাকা সেই লিটনের
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিক্রিয়া
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০৯ PM , আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৯ PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে গিয়ে গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁও শহরের কোর্টচত্বর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. লিটন। গুলিতে ঝাঁজরা হয়েছিল লিটনের পুরো শরীর। এ ঘটনার পর স্থানীয় একটি ক্লিনিকে অস্ত্রোপচার করে মাত্র ১২টি গুলি বের করা হলেও অধিকাংশ রয়ে যায় তার শরীর ও মাথায়।
গত মাসের শেষের দিকে ‘শিক্ষার্থী লিটনের শরীরে ৫০০ গুলি, উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়নি কেউ’ শীর্ষক শিরোনামে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে এ খবর প্রকাশিত হলে দৃষ্টিগোচর হয় অনেকেরই। জানা গেছে, এ খবর দেখেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম-সম্পাদক তারেক হাসান মামুন। পরবর্তীতে গুরুতর আহত লিটনের খোঁজ-খবর নেন তিনি। এরপর তার সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসার দায়ভার নেওয়ার আশ্বাস দেন এই ছাত্রদল নেতা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী লিটনের শরীরে ৫০০ গুলি, উন্নত চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়নি কেউ
এ বিষয়ে তারেক হাসান মামুন বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আহত শিক্ষার্থী বিছানায় শুয়ে-বসে কাতরাচ্ছেন, সেটা দেখে ভীষণ খারাপ লাগে আমার। পরে আমি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) রিহ্যাবিলিটি কমিটির আহ্বায়ক ডা. শাহ মো. আমানউল্লাহ ভাইয়ের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করি। এরপর তিনি লিটনের সব খরচ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন থেকে দেওয়ার আশ্বাস দিলে লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে তার চিকিৎসা শুরু করি। তাছাড়া ঢাকায় তার থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করে দেই।
জানা গেছে, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানের নির্দেশনায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাসান অপারেশন করে লিটনের মাথা থেকে ৫০টি গুলির মধ্যে মাত্র ২/৩টি গুলি বের করতে সক্ষম হয়েছিল। পরবর্তী বাকি গুলিগুলো বের করা হবে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। এছাড়া তার পায়ের তালুতে লাগা গুলি বের করতে অপারেশন হয় পঙ্গুতে।
সপ্তাহ দুয়েক ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে আজ রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাতে তিনি চলে যান নিজ এলাকায়। পরবর্তীতে একমাস পর চিকিৎসকরা আবার তার ফলোআপ করবেন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে লিটন বলেন, তারেক ভাই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর উনি সব দায়ভার নিয়েছেন। এমনকি থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করেন। আমি উনার প্রতি কৃতজ্ঞ। এছাড়াও ছাত্র ভাইয়েরাও খোঁজ-খবর নিয়েছেন। একমাস পর ঢাকায় আবার আসবেন বলে এসময় তিনি জানান।
চিকিৎসার বিষয়ে তিনি আরও জানান, আল্লাহর রহমতে এখন কিছুটা ভালো আছি। মাথায় অপারেশন করে ২/৩টি গুলি বের হয়েছে। এখনও ৪৮টির মতো আছে। তাছাড়া পায়ের তালুতে অপারেশন হয়েছে। সেখানেও গুলি আছে, তবে সবগুলো একসঙ্গে বের করা যাচ্ছে না।
প্রসঙ্গত, লিটনের বাড়ি ঠাকুরগাঁও শহরের মিলন নগর মহল্লায়। বাবা ইয়াকুব আলী। তিন ভাইয়ের মধ্যে লিটন সবার ছোট। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথমবর্ষের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাবা স্যানিটারি স্ল্যাব বিক্রি করে সংসার চালান।