আন্দোলনে নামছেন শিক্ষকরা, রূপরেখা ঘোষণা মঙ্গলবার

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে শিক্ষকদের অবস্থান
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দাবি আদায়ে শিক্ষকদের অবস্থান  © ফাইল ছবি

মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে ফের আন্দোলনে নামছেন শিক্ষকরা। আন্দোলনের রূপরেখা আগামী মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ঘোষণা করা হবে। আমরণ অনশন, ক্লাস বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি নিয়েই এগোচ্ছেন শিক্ষকরা বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, জাতীয়করণসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলা নানা বৈষম্য দূর করার দাবিতে আগামী মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচি থেকে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ ঘোষণা করা হবে।

জানা গেছে, সরকারি-বেসরকারি অন্যান্য চাকরিতে মূল বেতনের সমপরিমান অর্থ বোনাস হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়া চিকিৎসা, বাসা ভাড়াসহ নানা ক্ষেত্রে অর্থ পেয়ে থাকেন চাকরিজীবীরা। তবে দীর্ঘ ২০ বছরেও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা ২৫ শতাংশ ঈদ বোনাস পাচ্ছেন। এর কোনো পরিবর্তন হয়নি।

শিক্ষকরা বলছেন, শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয় এক হাজার টাকা। বর্তমান যুগে এক হাজার টাকা দিয়ে একটি টিনশেড রুমও ভাড়া পাওয়া যায় না। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলির কোনো সুযোগ নেই। নিজ বাড়ি থেকে তারা শত শত কিলোমিটার দূরে চাকরি করছেন। এই বৈষম্যগুলো নিরসনে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করলেও কোনো সরকারই দাবি বাস্তবায়ন করেনি। এ অবস্থায় নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইনডেক্সধারী শিক্ষকদের বদলি গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সরোয়ার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন থেকে শুরু করে সবক্ষেত্রেই বৈষম্য করা হচ্ছে। বদলি, উৎসব ভাতা প্রশাসনিক দায়িত্ব সকলে ক্ষেত্রেই বৈষম্যের শিকার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। তাই, মাধ্যমিক স্তরের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের কোনো বিকল্প নেই।’

সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, জাতীয়করণের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন একাধিকবার কর্মসূচি পালন করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) প্রেস ক্লাবের সামনে টানা ২২ দিন অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন। এছাড়া বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম টানা ৪৪ দিন অনশন পালন করেছে। অনশন চলাকালীন শিক্ষকদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলেও কর্মসূচি প্রত্যাহারের পর দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। এ অবস্থায় এবার আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে।

এ প্রসঙ্গ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, ‘এবারের কর্মসূচি হবে পূর্বের চেয়েও কঠোর। সব শিক্ষক সংগঠন এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেই কর্মসূচি ঠিক করা হবে। মঙ্গলবার আমর এ কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপর আমাদের আস্থা আছে। সেজন্য আমরা এখনই কঠোর কর্মসূচিতে যাচ্ছি না। মঙ্গলবার কর্মসূচি থেকে সরকারকে আমরা সময় দিতে চাই। এই সময়সীমার মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা মাঠের কর্মসূচিতে ফিরবো।’


সর্বশেষ সংবাদ