১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:০৯

চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৩, অবসরের কত?

চাকরির বয়স বৃদ্ধির আন্দোলন  © ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৩ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবসরের বয়সসীমা ৬৩ বছর করার সুপারিশ করেছে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটি। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঘোষণা আসতে পারে জানা গেছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন একদল চাকরিপ্রত্যাশী। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। চাকরিপ্রার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে বয়সসীমা বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়সসীমা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চাকরিপ্রার্থীদের দাবির বিষয়টি পর্যালোচনা করেই প্রবেশের বয়স ৩৩ এবং অবসরের বয়স ৬৩ বছর করার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটিই যৌক্তিক। এখন বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন  প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। তিনি চাইলে এটি বাড়াতে কিংবা কমাতে পারেন।

চাকরির বয়স বৃদ্ধি নিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর গঠিত কমিটির প্রধান করা হয় সাবেক সচিব আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরীকে, যিনি জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান। কমিটির সদস্যসচিব জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব। বুধবার সকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কমিটির সদস্যরা।

সভা শেষে বয়সসীমা বৃদ্ধির জন্য গঠিত কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয় নিয়ে যে দাবি আসছে সেটা যৌক্তিক মনে করছি আমরা। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে চাকরির বয়সসীমা নেই। আমরা সেসব বিবেচনায় নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেবো। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, তারা চাকরির বয়সসীমা ৩৫ করার দাবি তুলেছে। তবে সেটা কত হবে তা নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ বয়স যেটা বাড়বে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য হবে না। হলে তা স্থায়ীভাবে হবে। পাঁচ বছর পরে আবার তা পরিবর্তন হবে সেটা ঠিক না। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারির পর জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে কাজ শুরু হবে।