০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৪

আমাদের নিষিদ্ধ করতে এসে আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়েছে: শিবির সভাপতি

সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিবির সভাপতি  © সংগৃহীত

ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আমাদের নিষিদ্ধ করতে এসেছিল, আজকে তাদের পরিণতি কী? তারা জাতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। বিগত দুঃশাসনকালে কেউ ইসলাম চর্চা হতে দেখিনি বরং আমরা এমন দৃশ্য দেখেছি- যারা কুরআন-হাদিসের কথা বলেছে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বয়স্ক আলেমদের পায়ে ডাণ্ডা বেড়ি পরিয়ে তাদেরকে কারাগার থেকে নিয়মিত আলতে উঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানে নগর উত্তর ছাত্রশিবির আয়োজিত সীরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, অপশাসনের অবসানের পর এক অনিশ্চিত যাত্রা থেকে এ জাতি মুক্তির যে আলোর দিশা পেয়ে আজকে যে পথ চলছে, সেই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল ইসলামি ছাত্রশিবির এবং এ দেশের ছাত্রজনতা। হাসিনা ফ্যাসিস্ট তার জুলুমে পাহাড়সম নির্যাতনে এ দেশের ছাত্রজনতার ও তাওহীদি জনতার ত্যাগ এবং মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে আমার হাসিনা মুক্ত একটি দেশ পায়। তারা আমাদেরকে জুলুম করেছে। তারা ছিল জালেম। জালিমদের জন্য আল্লাহ দুনিয়াকে সঙ্কীর্ণ করে দেয়, যার প্রমাণ হাসিনা নিজেই।

ছাত্র-জনতার বুকে গুলি চালানো আওয়ামী লীগই দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা চালু করেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে বিচারবহির্ভূত হত্যার কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি। অথচ গত ১৬ বছরে প্রকাশ্যে হাজারো বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। এদেশে তারাই প্রথম বিচারবহির্ভূত হত্যার যাত্রা শুরু করেছে। এদেশে ইসলাম নিয়ে কথা বলায় জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী, মীর কাশেম আলীসহ অনেককে অবৈধভাবে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমের হত্যা করে তারা (আ.লীগ) প্রমাণ করেছে।

শিবির সভাপতি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসনামলে এমন কোনো নির্মম ঘটনা নেই, যা এই জাতি দেখে নাই। আমরা দেখেছি এদেশের ছাত্র জনতার উপর রাষ্ট্রীয় দমনপীড়ন, পৃথিবীর আর একটি দেশেও এমন নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। ঢাকার রাজপথে লাশ দেখেছি। পুরো দেশে নেট বন্ধ করে ছাত্রজনতাকে হত্যা করেছে ফ্যাসিস্ট সরকার।

চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার শিবিরের সভাপতি ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব সাইয়্যেদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবিরী আল-মাদানী, প্রধান মুফাসির হিসেবে বক্তব্য রাখেন মুফতি আমির হামজা।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের আমির শাহজাহান চৌধুরী, মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন প্রমুখ।