দাফনের ৫৫ দিন পর কবর থেকে তোলা হলো আন্দোলনে নিহত ফারুকের মরদেহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত ভোলার চরফ্যাশনের ওমর ফারুকের মরদেহ ৫৫ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন ২নম্বর ওয়ার্ডে কবরস্থান থেকে মরদেহ তোলা হয়। নিহত ওমর ফারুক একটি মুদি দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
মরদেহ উত্তোলনের সময় চরফ্যাশন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নিহতের পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সালেক মূহিত বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিহত ওমর ফারুকের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে গণপিটুনির পর সাবেক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যুতে গ্রেপ্তার আরও ১
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার আল্লাহ করিম মসজিদ ফুট ওভার ব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওমর ফারুক নিহত হন। পরে ৬ আগস্ট পরিবারের লোকজন গ্রামের বাড়ি চরফ্যাশন উপজেলার নুরাবাদ ইউনিয়ন ২নম্বর ওয়ার্ডে তার দাফন সম্পন্ন করেন।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে নিহতের বাবা মিলন ফরাজী বাদী হয়ে ৫৮ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি স্বজনদের।