নারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা। হামলায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের বিচারের দাবিতে জানান তারা।
আজ রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইডেন মহিলা কলেজের ছাত্রী মেহেরুন নেসা বলেন, ‘১৫ জুলাই ছাত্রলীগ নামের সন্ত্রাসীরা ছাত্রীদের নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। তারাই এখন ক্লাসে আসছে। স্বাধীন দেশে এ ঘটনার বিচার না হওয়াটা লজ্জার।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী জেবনি সুলতানা বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে নারী শিক্ষার্থীরা লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমণ, নির্যাতন ও হুমকির শিকার হয়েছেন অনেকে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের হয়ে আমলাতন্ত্রের যেসব মানুষ এসবের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আমরা তাদেরও বিচার দেখতে চাই। আর কেউ যেন এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস না পায়। এই শাস্তিটা যেন দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ৷ তিনি বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের দুই মাস পেরোতে চললেও নারী শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামতে হচ্ছে। তাহলে সরকার ও প্রশাসন কী করছে? ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের চিহ্নিত করে এখন পর্যন্ত একটি মামলাও করতে পারেনি। প্রশাসনকে বলব, সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করুন। হামলাকারীদের সঙ্গে আমরা কেউ ক্লাস করতে প্রস্তুত নই।’
হামলাকারীদের সার্টিফিকেট বাতিল করার দাবি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ সমাপনী বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের বোনেরা আজকে আবার বিচার চাইতে দাঁড়িয়েছেন। এটা আমাদের জন্য জাতিগত লজ্জার। অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসন কী করছে? তারা হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা একটি মামলা পর্যন্ত করতে পারেনি। যারা হামলাকারী তাদের সঙ্গে আমরা ক্লাস করতে প্রস্তুত না।