২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৩

বাঁচানো গেল না গণ-অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র রাতুলকে

জুনায়েদ ইসলাম রাতুল  © সংগৃহীত

৪৯ দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে অবশেষে মারা গেলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র জুনায়েদ ইসলাম রাতুল (১২)। গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দিন গত ৫ আগস্ট বগুড়ায় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন স্কুলছাত্র রাতুল।

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যায় সে। রাতুল বগুড়ার পথ পাবলিক স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ওই এলাকার মুদি দোকানি জিয়াউর রহমানের ছেলে।

রাতুলের বাবা জিয়াউর রহমান জানান, গত ৫ আগস্ট সকাল থেকেই বগুড়া শহরের বড়গোলা এলাকায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে ছিল রাতুল। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্র-জনতার মিছিলটি যখন বগুড়া সদর থানার দিকে এগোচ্ছিল, সে সময় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় সে।
 
তিনি আরও জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতুলকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ মাস ২০ দিন পর সোমবার ভোরে হাসপাতালে মারা যায় সে।

আরও পড়ুন: সোহেলের ঝুলে যাওয়া ভাঙা পায়ে আবার লাঠির আঘাত ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কিছু লিখবি?

জানা গেছে, ৫ আগস্ট সকালে নাশতা না করে মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও বোন জেরিন সুলতানা ও ভগ্নিপতি আমির হামজার সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যায় রাতুল। একসময় মিছিল নিয়ে তারা বগুড়া সদর থানার অদূরে ঝাউতলার কাছে পৌঁছায়। তখন বৈষম্যবিরোধী মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে আহত হয় রাতুল।