ওবায়দুল কাদেরকে ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল
সম্প্রতি ছাত্র জনতার অভ্যূথানে শেখ হাসিনা সরকার দেশ ত্যাগ করায় দলের নেতাকর্মীদেরও বিভিন্ন ভাবে দেশ ত্যাগের খবর পাওয়া গেছে অনেকে বিভিন্ন মামলায় রয়েছেন কারাগারে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে দলের দেশবিরোধী কার্যক্রমের কারনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশ ছেড়ে পালানোর হুশিয়ারী করেন।
বিরোধী দলের এমন হুশিয়ারীতে আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আরেক সভায় বলেন “পালাব না, কোথায় পালাব, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠবো। কি? জায়গা দেবেন, নাহলে ঠাকুরগাওয়ের বাড়ি আছে না”
ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেরে উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘উনি বলতেন পালাব না, কিন্তু উনি এখন কোথায়? আবার মাঝখানে আমাকে বিদ্রুপ করে বলেছিলেন, পালাবে না, যদি পালাতেও হয় দেশের বাইরে যাবেন না। আর আমরা নাম ধরে বলেছিলেন, ‘‘ফখরুল আপনি কি আপনার বাসায় আমাকে জায়গা দেবেন না।” এখন আমি ওবায়দুল কাদেরকে বলতে চাই আসেন, আমার বাসায় আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি কোথায় চলে গেছেন, দেশবাসী জানে না। আবার অনেকে বলে ভারতে নাকি চলে গেছে, কেন ভাই ভারতে কেন, দেশ তো আপনার, আপনি এখানে নির্বাচন করেন, এখানকার নেতা। আপনাকে ভারতে পালাতে হয়েছে কেন? কারণ আপনি এই দেশের মানে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গ্রেফতার
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারে দাবিতে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি কোনোদিন দেশ ছেড়ে পালবো না। তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। তাড়াতাড়ি করে একটি হেলিকপ্টার নিয়ে পালিয়েছে ভারতে। আওয়ামী লীগ এত খারাপ কাজ করেছে তারা দেশে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পালিয়ে যাইনি, জেল খেটেছেন। ওনাকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে যার কারণে আজও তিনি অসুস্থ্য।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি মামলার কারণে ১১ বার জেলে গিয়েছি। তবে জমি দখল ও লুটের নয়, সব রাজনীতির মামলা। ঠাকুরগাঁওয়ের ৭ হাজার বিএনপির নেতকর্মীর নামে মামলা হয়েছে। এরকম সারাদেশে ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। সারাদেশে প্রায় ৮০০ নেতা কর্মীকে গুম করে দিয়েছে তারা। পুলিশকে দিয়ে থানায় নিয়ে পায়ের মধ্যে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে।
ছাত্র আন্দোলন নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবারের ছাত্র আন্দোলনে পাখির মত গুলি করা হয়েছে। এতে অনেকের চোখ অন্ধ ও হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। আইন ব্যবস্থা বলতে কোনো কিছু ছিল না।