১০ মিনিটের মধ্যে সমন্বয়ককে ক্যাম্পাস ছাড়ার আল্টিমেটাম, অতঃপর...
১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেয়ার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভা না করেই বগুড়া ছেড়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় সরকারি আজিজুল হক কলেজে এ মতবিনিময় সভা হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সমন্বয়ক মাহিন সরকারকে কলেজ চত্বর ত্যাগ করতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে মাহিন সরকার সেনাবাহিনীর সহায়তায় সাদা গাড়িতে উঠে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
জানা গেছে, আজ সকালে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাহিন সরকার বগুড়ায় আসেন। তিনি সকালে বগুড়ার শহিদদের কবর জিয়ারত করেন এবং দুপুরে শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এরপর বিকেলে সরকারি আজিজুল হক কলেজের মুক্তমঞ্চে ছাত্র-নাগরিক মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বগুড়া। এতে মাহিন সরকার যোগ দিতে আসলে অপর আরেকটি গ্রুপ তাকে দেখে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে মাহিন সরকারসহ অন্য নেতারা সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেয়া গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সমন্বয়ক হিসেবে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহকে চিনি। অন্য কোনো সমন্বয়ককে মানি না। ওই দুই সমন্বয়ক না আসলে কোনো কর্মসূচি হবে না। এ সময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা গ্রুপ তাদের সঙ্গে বসার আহ্বান জানালে সেটি ওই গ্রুপ প্রত্যাখান করেন। পরে সেনাবাহিনী এসে মাহিন সরকারসহ অন্যান্যদের নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে বসেন। বৈঠক চলাকালে কলেজ চত্বরে অপর গ্রুপ সমন্বয়ক মাহিন সরকারকে কলেজ চত্বর ত্যাগ করতে ১০ মিনিটের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। পরে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তিনি।
মাহিন সরকার ও তার দলের বিরোধীতা করা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ছিলেন সাকলাইন সাদিক। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা আসছেন এবং কলেজে তাদের অনুষ্ঠান রয়েছে, সেটা আমরা শিক্ষার্থীরা কেউ জানতাম না। তারা এখানে তাদের মতো করে পকেট কমিটি দিয়ে যাবে, এটা আমরা মানব না। তাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না। অনুষ্ঠান করতে হলে এখানে সারজিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আসতে হবে।
তবে মাহিন সরকারদের সঙ্গে সমন্বয়কারীদের একজন নিয়তি সরকার নিতু বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের কথা এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয়কেরা আসছেন এটা সবাইকে জানানো হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, শিক্ষার্থীদের দুটি পক্ষ মুখোমুখি হয়েছিল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।