আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সিফায়েত অর্থাভাবে কিনতে পারছেনা ঔষধ
৫ আগস্ট সকালে সাভারের নবীনগর এলাকায় ছাত্র জনতার অভ্যূথানে লংমার্চে অংশগ্রহণ করে সিফায়েত। আন্দোলনের এক পর্যায়ে পুলিশের ছোররা গুলি সিফায়েতকে বিদ্ধ করলে, জ্ঞান হারিয়ে ফেলায় অন্য আন্দোলনকারীরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসার পর তাঁকে নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে ৩০ আগস্ট ছাড়পত্র নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় সিফায়েত, ভালো করে কথা বলতে পারছেন না। অর্থের অভাবে তাঁর উন্নত চিকিৎসা দূরে থাক, ওষুধও কিনতে পারছেন না তাঁরা। সে আগে টিউশন করে নিজের লেখাপড়ার খরচ চালাতো।
বড় ভাই রুবেল চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানা, ‘সিফায়েতের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না। সুস্থ হতে প্রয়োজন উন্নত চিকিৎসার। কিন্তু আমরা আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকারের কাছে আমরা উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাই।’
আরও পড়ুন: নাটোরে সমন্বয়কদের ওপর হামলায় জড়িত ছাত্রদলের কর্মীরা
আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী মো. সিফায়েত চৌধুরি (২৬) নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাসিন্দা। আসাদ চৌধুরি ও মরজিনা বেগমের ছোট ছেলে। ভাইদের সহযোগিতা ও টিউশনি করেই এতদিন পড়ালেখা চলেছে সিফায়েতের। ডিগ্রি শেষ করে গত ১৫ জুলাই ঢাকায় উঠেছিলেন বড় বোনের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিল মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া ও চাকরির প্রস্তুতি নেওয়া।
পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, সিফায়েত আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়, ঢাকায় চিকিৎসা হলেও সে পুরো সুস্থ হয়নি, তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। উন্নত চিকিৎসা হলে সে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে।’