ঢাকা ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ
রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড়ে আইডিয়াল ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রাজধানীর গ্রিন রোডে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের পাভেল নামের এক শিক্ষার্থীকে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মারধর করে এবং অন্য এক শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রতিহত করতে গেলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আইডিয়াল কলেজের চারশত শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজের গেইটে হামলা করে।
এসময় ঢাকা কলেজের অনার্সের কিছু শিক্ষার্থী ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামের উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের নবীনবরণ অনুষ্ঠান শেষ করে আইডিয়াল কলেজের দিকে শিক্ষার্থীদের যেতে বলে। তখন কলেজ অডিটোরিয়ামের সামনে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নবীনবরণ আয়োজনকারী দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এরপর দুপুর ২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা গ্রিন রোডে আসলে সেখানে অবস্থানরত আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এসময় পুলিশের বিরাট সংখ্যক সদস্য উপস্থিত থাকলেও উভয় পক্ষকে শান্ত বিরত থাকে। একপর্যায়ে মেজর তাজবিদের নেতৃত্ব সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে। দুপুর ৩টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এলে উভয় কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।
আরও পড়ুন: রাবিতে চার শিক্ষার্থীকে ভর্তি করিয়েছেন একই প্রক্সিদাতা
পরে দুপুরে ধানমন্ডি-৩ সংলগ্ন মিরপুর রোডে চলন্ত বাস থামিয়ে ঢাকা কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের তিন শিক্ষার্থীকে মারধর করে এবং কলেজ ড্রেস ছিনিয়ে নেয় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সেনাবাহিনী সায়েন্স ল্যাবে অবস্থান নিয়ে উক্ত অবস্থা রোধ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিষয়ে আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষের মন্তব্য চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি গ্রিন রোড পর্যন্ত এসেছি যেন শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে না জড়ায়। প্রতিটি শিক্ষক সকলের শিক্ষক, প্রতিটি শিক্ষার্থী সকলের শিক্ষার্থী। আমাদের একাডেমিক কাউন্সিলের সভা একটু পরে শুরু করবো। আর্মি আমাদের অনুরোধ করেছে কাল ক্লাস স্থগিত করার জন্য। আগামীকাল ছুটি দেওয়া যায় কিনা এ বিষয়ে একাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে রমনা জোনের এডিসি নাছের উদ্দীন বলেন, ঘটনা কেন ঘটেছে আমরা এখনো জানতে পারিনি।তবে আমরা যখন এসেছি তখন ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থানে ছিল। পুলিশ ছিল, পুলিশের সাথে সেনাবাহিনী যোগ দিয়েছে। আমরা উভয় পক্ষের সাথে কথা বলেছি, উভয়পক্ষকে আমরা বুঝিয়ে নিজ নিজ কলেজে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি। আমরা শিক্ষকদের সাথে কথা বলবো এবং দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা বসবো যেন এরকম ঘটনার আর না ঘটে সেটার স্থায়ী একটা পদক্ষেপ করে একটা সুন্দর সমাধানে যেতে পারবো।
উল্লেখ্য, দুই কলেজের সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা কলেজ বিএনসিসির সদস্য সহ ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়।