০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯

আন্দোলনে নিহত ৭৫ জনকে দাফন রায়েরবাজারে?

ছাত্র-জনতার আন্দোলন  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে ৭৫টি অজ্ঞাত মরদেহ দাফন করা হয়েছে। রায়েরবাজারের এই গোরস্থানে অজ্ঞাতনামা লাশের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান গোরখোদকরা। এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিক কালবেলা।  

প্রকাশিত প্রতিবেদনে আঞ্জুমানের সূত্র উল্লেখ করে বলা হয়, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত মরদেহগুলো রাজধানীর রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এসব মরদেহের মধ্যে ২২ জুলাই ১১টি, ২৩ জুলাই একটি, ২৪ জুলাই ৯টি, ২৫ জুলাই তিনটি, ২৭ জুলাই সাতটি, ২৮ জুলাই ১১টি, ২৯ জুলাই একটি ও ৩১ জুলাই তিনটি মরদেহ দাফন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ১৪ থেকে ২১ জুলাই কোনো মরদেহ দাফন করেনি তারা। এ ছাড়া আগস্ট মাসের প্রথম ২৬ দিনে তারা দাফন করেছে ২৩টি মরদেহ।

অন্তত ১০ দিন রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে খোঁজ নিয়েছে গণমাধ্যমটি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে বের করার চেষ্টা করেছে লাশ দাফনের গরমিল। তবে সাংবাদিক পরিচয়ে তারা দাফন-সংক্রান্ত কোনো তথ্য দিতে রাজি হয়নি। বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, ১ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত যত মরদেহ দাফন করা হয়েছে, তার কোনো হিসাব নেই কবরস্থান কর্তৃপক্ষের কাছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন দায়িত্বরতরা।

তারা বলছেন, ওই সময়ে সেখানে কোনো অজ্ঞাত মরদেহ দাফন করা হয়নি। যদিও আগস্টের ওই সময়েই সবচেয়ে ভয়ংকর গণহত্যা চালানো হয়। পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের গুলিতে সবচেয়ে বেশি ছাত্র-জনতা নিহত হয়। তবে দর্শনার্থী পরিচয়ে কবরস্থানে গোরখোদক এবং দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে গণমাধ্যমটি।

এর মধ্যে অন্তত দুজন আনসার সদস্য বলেছেন ওই সময়ের অভিজ্ঞতার কথা। তারা বলেন, ‘আগস্টে প্রচুর মরদেহ এসেছে। এগুলো এখানেই দাফন করা হয়েছে।’

আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের তথ্যমতে, তারা যে-সব মরদেহ সংগ্রহ করেছে তা মূলত ঢাকা মেডিকেল, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মিটফোর্ড মেডিকেল, শহীদ তাজুদ্দিন মেডিকেল থেকে। মেডিকেল ছাড়া বাইরে থেকে তারা কোনো মরদেহ সংগ্রহ করেনি। তবে ঢাকা মেডিকেলের মর্গের দায়িত্বে থাকা রামু চন্দ্র দাস বলেন, তারা মাত্র আটটি মরদেহ শাহবাগ থানাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। শাহবাগ থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ শাহাবুদ্দিন শাহিন সেই মরদেহ আঞ্জুমানকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

আঞ্জুমানের তথ্যমতে, রায়েরবাজার কবরস্থানে মাত্র ৬৯টি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। সাধারণত বেওয়ারিশ মরদেহ দাফনের নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে। সরেজমিন সেখানে গিয়ে ওই সময় দাফন করা ৭৫টি কবর দেখা গেছে।