২৫ আগস্ট ২০২৪, ১৩:০৭

শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালান শামীম ওসমান ও তার বাহিনী

শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালান শামীম ওসমান ও তার সঙ্গীরা  © সংগৃহীত

ছাত্র আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি চালিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও তার সহযোগীরা। শনিবার (২৪ আগস্ট) এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় এবং শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের নামে একাধিক মামলা হয়েছে। সরকার পতনের পর শামীম ওসমান ও তার সহযোগীরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

গত ১৯ জুলাই চাষাড়ার বঙ্গবন্ধু সড়কে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি করার ভিডিওতে দেখা যায়, শামীমের বাহিনী আগ্নেয়াস্ত্র হাতে একের পর এক গুলি ছুড়ছে। শামীমের শ্যালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুকেও গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, শামীম ওসমান ও তার বাহিনী অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে শহরের ডিআইটি এলাকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ সময় তার শ্যালক বিসিবির পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটু মিছিলের সামনে অবস্থান করে হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করতে করতে এগিয়ে যাচ্ছেন।

শামীম ওসমানের পেছনে দুটি অস্ত্র হাতে ছিলেন ডিবিসি নিউজের নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি রাজু আহমেদ। আর পেছনের সারিতে পিস্তল হাতে ছিলেন শামীম ওসমানের বেয়াই ফয়েজ উদ্দিন লাভলু ও তার ছেলে মিনহাজুল ইসলাম ভিকি। এ সময় তাদেরও গুলি ছুঁড়তে দেখা যায়।

সন্ত্রাসীদের মতো নির্বিচারে গুলি করা গ্রুপটিতে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়াডের্র কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু ও তার ছেলে রিয়ানকেও দেখা গেছে। শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুচর ব্যবসায়ী অনুপম কুমার সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনুসহ অসংখ্য ব্যক্তির হাতেও অস্ত্র ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, ভিডিওতে না আসলেও সেদিন শামীম ওসমানের ছেলে ইমতিনান ওসমান অয়ন, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজামও গুলি চালিয়েছেন। অস্ত্রের মহড়ায় ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ছাত্রলীগ নেতা আহম্মেদ কাউসার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসমাইল রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানও।