বন্যার্তদের খাবার-পোশাক পৌঁছাতে ট্রাক খুঁজছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন
আকস্মিক ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বাংলাদেশ কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালীসহ কয়েকটি জেলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এমন অবস্থায় বন্যা কবলিত এলাকার মানুষদের সহায়তায় বিগত দু-দিন ধরে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) বুথ বসিয়ে ‘গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি’র মাধ্যমে গৃহীত এ ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে বন্যা দুর্গত এলাকায়। ত্রাণের বিভিন্ন সামগ্রী বহন করে এসব এলাকায় পাঠাতে ট্রাক সহায়তা চেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তারা প্রায় কোটি টাকার মতো নগদ অর্থ এবং শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন এবং পোশাক সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও সংগ্রহ করা হয়েছে গবাদি পশুর খাবারও। এদিন যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী উঠানো হয়েছে—তা বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে পৌঁছতে ৩০টির মতো ট্রাক লাগবে। সেজন্য ট্রাক দিয়ে সহায়তা করতে পারেন এমন সংশ্লিষ্টদের কাছে সহায়তা চেয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের জন্য ঢাবি টিএসসি: এক দিনে সংগ্রহ নগদ ৮৬ লাখ টাকা ও ৩০ ট্রাক পরিমাণ খাবার ও পোশাক
ত্রাণ সংগ্রহে থাকা সমন্বয়ক এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শুক্রবার নগদ অর্থের পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয়েছে শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন এবং পোশাক। এছাড়াও সংগ্রহ করা হয়েছে গবাদি পশুর খাবারও। এগুলো বন্যা দুর্গত এলাকায় পাঠানো হবে।
এর আগে গতকালও বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এ গণত্রাণ সংগ্রহে ১৪ লাখ ৬০ হাজার ১৭৩ টাকা জমা হয়েছে। আর শুক্রবার ৮৬ লক্ষ ২২ হাজার একশ বাহাত্তর টাকা নগদ সংগ্রহ করা হয় এ তহবিলে।
আরও পড়ুন: পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার পূর্বাভাস দেয়নি কোনও পক্ষ
ভারতীয় ঢল আর ভারী বৃষ্টিতে বন্যা কবলিত হয়েছে দেশের ১২টি জেলা। ভারী বৃষ্টিপাত ও প্রবল স্রোতের কারণে বন্যার পানিতে ডুবে, পাহাড় ধসে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সোমবার (১৯ আগস্ট) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৩ জন মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও দুজন।
গত বুধবার (২১ আগস্ট) থেকে ফেনীসহ আট জেলায় হঠাৎ বন্যা দেখা দেয়। তবে তার কয়েকদিন আগে থেকেই ভারী বৃষ্টি হচ্ছে অনেক জেলায়। এরপর বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে বৃহস্পতিবার আরও চার জেলার অনেক জায়গা তলিয়ে যায়।