অবশ্যই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে আন্দোলন-বিক্ষোভ হচ্ছে: সারজিস
ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন ও বিক্ষোভ হচ্ছে। ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে এ আন্দোলন-বিক্ষোভ হচ্ছে দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, এত বড় একটি ক্ষতপূর্ণ রাষ্ট্রের সংশোধনের জন্য সময় প্রয়োজন। সেই সময়টুকু না দিয়ে যদি বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করা হয়, এর মানে হচ্ছে রাষ্ট্রের স্থিতিশীল অবস্থা হওয়ার জন্য যে গতি দরকার, তাতে তারা বাধা দিচ্ছেন। তাদের অবশ্যই ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।
বুধবার (২২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে আহত ব্যক্তিদের দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
সারজিস আলম বলেছেন, বিগত ১৬ বছর ধরে যেসব মানুষ কথা বলার সাহস করেননি, ৫৩ বছরে যারা রাস্তায় নামার খুব একটা সাহস করেননি, তারাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চাচ্ছেন ১৬ দিনের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাক। এই মানুষগুলো তাদের ব্যক্তিগত কিংবা গোষ্ঠীগত ছোট উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য রাজপথে নামছেন। সচিবালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করছেন।
বিগত সরকার বাংলাদেশকে দুর্নীতির দেশে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা বৈষম্যর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। কোনো একক বৈষম্য নয়। পুরো বাংলাদেশের সব সেক্টরের বৈষম্য। ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার দেশকে দুর্নীতির বাংলাদেশে পরিণত করেছে। আমরা যদি এতে কাজ করতে যাই, মাথা থেকে গোড়া পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে। এখন মাথাগুলো শুরু হয়েছে, দিন দিন প্রতিটি ধাপে যাওয়া হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সময় দিন। আপনার জায়গা থেকে সমালোচনা করুন। আমাদের কাছে আসুন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হোক কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন—এই প্ল্যাটফর্মগুলোর সঙ্গে আপনাদের বসার ব্যবস্থা করে দেব। কিন্তু পূর্বশর্ত হচ্ছে রাষ্ট্রকে স্থিতিশীল অবস্থায় আনার জন্য তিন থেকে ছয় মাস অবশ্যই সময় দিতে হবে।
এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মোহাম্মদ রাসেল আহমেদ, আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমদ উল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।