১৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:২৫

‘কার্টুনে বিদ্রোহ’ কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফা

ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শনী চিত্র  © সম্পাদিত

কার্টুন একটি শক্তিশালী ও প্রতিবাদের অনন্য ভাষা। যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেশ ভালোভাবেই ফুটে উঠেছে। কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে সরকার পতনের এক দফা- পুরোটা সময় ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ছিল প্রতিবাদী ও ব্যঙ্গাত্মক কার্টুনে সয়লাব। এক কথায় বলতে গেলে মুখের না বলা কথা কার্টুনে প্রকাশের এ এক অন্য রকম ‘বিদ্রোহ’ দেখেছে বিশ্ববাসী।

সেইসব কার্টুন নিয়ে বাংলাদেশ কার্টুনিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, দৃক ও ইয়ার্কির সহযোগিতায় রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে আয়োজন করেছে ‘কার্টুনে বিদ্রোহ’ নামে ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। গত শুক্রবার বিকেলে এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা। ৮২ জন কার্টুনিস্টের আঁকা প্রায় ১৭৫টি কার্টুনের এই প্রদর্শনী ২৩ আগস্ট (বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা) পর্যন্ত চলবে।

আয়োজকরা এক বিবৃতিতে জানান, দেশের প্রতিটি মানুষ এই মুহূর্তে রাজনীতি সচেতন, প্রতিটি আড্ডা রাজনৈতিক আলাপে মুখর। মানুষ প্রাণ খুলে কথা বলছে, অন্যের মতামত গ্রহণ করছে, উপভোগ করছে বাকস্বাধীনতা। অথচ এই কিছুদিন আগেও দেখা যেত মতপ্রকাশে কী অদ্ভুত সংকোচ। রাজনৈতিক ঘটনা জাতীয় জীবনে ঘটে চলেছিল অহরহ, কিন্তু এ নিয়ে কার্টুন একেবারে হাতেগোনা। যারা করে গেছেন, তাদেরও মাথায় রাখতে হয়েছে অনেক আশঙ্কা, ভীতি।

বিবৃতিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেখা গেছে অভূতপূর্ব এক দৃশ্য। যতই ভয় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা জয় করে জনতা হয়ে উঠছে ততই দুর্দম। আর ভয়কে জয় করলে, মতপ্রকাশে অসংকোচ হয়ে উঠলে কার্টুন কেমন জ্বলে উঠতে পারে, এবার আমরা দেখেছি। প্রথম আর্টওয়ার্ক এসেছে কার্টুনিস্টদের কাছ থেকেই। প্রথিতযশারা তো এঁকেছেনই, প্রাণখুলে তাতে যোগ দিয়েছেন নবীনরা। কেউ প্রকাশ করেছেন ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায়, কেউ এঁকেছেন সংবাদমাধ্যমের পাতায়। কেউ নামে এঁকেছেন, কেউ বেনামে এঁকেছেন, অসংখ্য মানুষের শেয়ারে তা ছড়িয়ে গেছে অন্তর্জালে।

সরেজমিনে দেখা যায়, দেয়ালে দেয়ালে ঝুলছে আন্দোলনের চিত্র, কোনোটি মর্মান্তিক, আবার কোনোটি ব্যঙ্গাত্মক। কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের ছবি। মত প্রকাশে অসংকোচ হলে কার্টুন কেমন জ্বলে উঠতে পারে সেই চিত্রই ফুটে উঠেছে প্রদর্শনীতে।