অপরাধে জড়িত থাকায় যুবদল–ছাত্রদলের ১৫ জনকে বহিষ্কার
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ পাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। গত চার দিনে অন্তত ১৫ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার এবং একজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর এ ব্যবস্থা নেওয়া হলো বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে।
জাতীয়তাবাদী যুবদল ও ছাত্রদলের সূত্র জানিয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যুবদল এ পর্যন্ত ১২ জনকে বহিষ্কার ও অন্তত ৫ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে। ছাত্রদল গত চার দিনে তিনজনকে বহিষ্কার ও একজনকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল খান, ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক বি এম আলমগীর কবির ও পঞ্চগড় পৌরসভার সদস্যসচিব শামিম ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়। আর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ চৌধুরীকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আরও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
যুবদল থেকে বহিষ্কৃত ১২ নেতা হলেন সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহসভাপতি নাসিম চৌধুরী ও জাহিদ হোসেন, গাজীপুর মহানগর যুবদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান রেজা, শ্রীপুর উপজেলার সদস্যসচিব মাইদুর রহমান খান, ঝিনাইদহ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মোশতাক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ ইমরান, নরসিংদী জেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার আহ্বায়ক বেলাল হোসেন, চাটখিল উপজেলার সদস্যসচিব বেলায়েত হোসেন, মাগুরা সদর উপজেলার সদস্যসচিব শাকিব মাহমুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের গেন্ডারিয়া থানার সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম, কদমতলী থানার ৬০ নম্বর ওয়ার্ডের আহ্বায়ক আসিফ মামুন। এর বাইরে স্বেচ্ছাসেবক দল মাগুরা পৌর শাখার আহ্বায়ক মারুফ হোসেনকে সব পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।