০৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:৪৪

তামীরুল মিল্লাতে ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে নিহতদের গায়েবানা জানাযা

  © টিডিসি ফটো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে নিহত হওয়া তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গীর শিক্ষার্থী মোহাম্মদ নাসির ইসলাম, ওসমান পাটোয়ারী ও পারভেজসহ দেশের সকল শহীদ শিক্ষার্থীর গায়েবানা জানাযার নামাজ আদায় করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে মাদ্রাসার অডিটোরিয়াম সংলগ্ন সামনের সড়কে এ গায়েবানা জানাযার নামাজ আদায় হয়। জানাযার নামাজের ইমামতি করেন মাদ্রাসার আরবি বিভাগের অধ্যাপক মাওলানা সাইদুল ইসলাম। এসময় এখানে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, আশপাশে বসবাসরত দারুল ইসলাম ট্রাস্ট এলাকার বাসিন্দা, স্থানীয় দোকানদার, জামায়াতে ইসলামী গাজীপুর ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই গায়েবানা জানাযায় স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।

তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, এই সময়ে এই স্বাধীন বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে স্বরণ করতে হয় আবরার ফাহাদকে। যিনি নিজের জীবন বিলিয়ে দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয় সেটা শিখিয়ে গিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর শূন্যতা অনুভব করছি। এই দেশকে ইসলামের রঙে রাঙাতে হবে। আগামীর ভবিষ্যত প্রজন্মকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসার দায়িত্বানুভূতির দিকেও দায়িত্বশীলদের দৃষ্টিপাত করেন।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ ‘শাহাদাতের বন্যার ঢেউ’ তুলে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী। তিনি বলেন, কিছু কিছু মৃত্যু মানুষকে সাহসী হতে শেখায়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে কিভাবে শাহাদাতের নজরানা পেশ করতে হয় সেটা আমাদেরকে শহীদ আবু সাইদ ভাই শিখিয়ে গিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জেলা উপজেলা ও আনাচে-কানাচের চেয়ে অনেক বেশি উর্বর এই ময়দান (তামীরুল মিল্লাত)। সেই উপযোগী ময়দানে শহীদ আবু সাইদের মতো তথা সাহসী ও হিম্মতওয়ালা লোক তৈরির চাষাবাদ করতে হবে। শহীদ মীর কাশেম আলী, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর উত্তরসূরী তৈরির লক্ষ্যে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করেন তিনি।