ছাত্র আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে নতুন কর্মসূচি ইসলামী আন্দোলনের
আগামী সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকায় গণমিছিলের ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে এ কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। শনিবার (৩ আগস্ট) ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে সব বাহিনী নামিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে, লাখো মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, হাজার হাজার বাচ্চা এতিম, অনেকে বিধবা, পঙ্গু, অন্ধ হয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ অসহায় যন্ত্রণায় হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। মানুষ ঘরে থাকতে পারছে না। ঘরে থেকেও গুলিবিদ্ধ হচ্ছে, বাচ্চারা খেলতে পারছে না গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। ছাদে গেলেও গুলি, বাসায় জানালা দিয়েও গুলি। এ সরকার রক্তের নেশায় মত্ত হয়ে উম্মাদ হয়ে গেছে। বাসাবাড়িতে থাকতে পারছে না পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। অনেক বাবা, ভাই লাশ গ্রহণ করতে পারছে না পুলিশ ও সরকারের সন্ত্রাসীদের ভয়ে। এজন্য শত শত লাশ বেওয়ারিশ দাফন করা হয়েছে। সরকার জনগণের মন থেকে শান্তি কেড়ে নিয়ে অশান্তির আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।
মুফতি ফয়জুল করীম বলেন, আমরা আর একটা খুন চাই না, গুলি চাই না। যদি গুলি চালানো হয় জনগণ গণভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে ঘেরাও করতে বাধ্য হবে। তিনি ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পতন আন্দোলনে সবাইকে নেমে আসার আহ্বান জানান। মুফতি ফয়জুল করীম বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, ইসলামী আন্দোলন শুরু থেকে এ আন্দোলনের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। তিনি আগামী ৫ আগস্ট এক দফা দাবিতে ঢাকায় গণমিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এছাড়াও সারা দেশে জেলা ও মহানগরে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার গণমিছিলে নেতৃত্ব দিবেন দলের আমির হজরত পীর সাহেব চরমোনাই।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, কেন্দ্রীয় ছাত্র ও যুববিষয়ক সম্পাদক মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের। কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রিন্সিপাল মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, যুবনেতা মাওলানা নেছার উদ্দিন, ছাত্রনেতা নুরুল বশর আজিজী প্রমুখ।