মিরপুর ১০ নম্বর দখলে নিয়ে ছাত্র-জনতার অবস্থান
নয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবং চলমান আন্দোলনে হত্যা-নির্যাতনের প্রতিবাদে রাজধানীর মিরপুরে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বেলা আড়াইটায় বিক্ষোভ করার কথা থাকলেও দুপুর সাড়ে ১২টার আগেই মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর অবস্থানের ফলে মিরপুরের বড় অংশজুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদের যুক্ত হতে দেখা যায়।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে ২ নম্বরমুখী সড়কে শতাধিক পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। সেখানে শিক্ষার্থীরা ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে,’ ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দফা এক দাবি এক, শেখ হাসিনার পদত্যাগ’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন। মিরপুর ১০ নম্বরে সড়কে বিভিন্ন স্লোগানও লেখেন শিক্ষার্থীরা। তাদের বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন অভিভাবককে অংশ নিতে দেখা যায়। তারা পানির বোতল বিতরণসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করছেন।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর প্রগতি সরণি সড়কে গণমিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে তারা সড়কে নামেন। এদিকে মিছিল শুরুর পর থেকে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। সড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।
শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে আন্দোলনকারীদের নামার কথা থাকলেও, দুপুর সোয়া ১টার দিকে বসুন্ধরা মেইন গেট ও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সড়ক দখল করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে কয়েক'শ শিক্ষার্থী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার থেকে জড়ো হয়ে একটি মিছিল নিয়ে প্রগতি সরণি রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আশপাশের ছড়িয়ে থাকা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিলে অংশ নেন এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদের যুক্ত হতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা যমুনা ফিউচার পার্কের গেট থেকে নর্দা ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ দখল করে আন্দোলন করছেন। বিপুলসংখ্যক পুলিশ যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।