০৩ আগস্ট ২০২৪, ১৪:৫০

সায়েন্সল্যাব ছেড়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে আন্দোলনকারীরা

গণমিছিল  © টিডিসি ফটো

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ছেড়ে শহীদ মিনারের দিকে অগ্রসর হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শনিবার দুপুরে সায়েন্সল্যাবে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা। পরে অবস্থান শেষে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে অগ্রসর হন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিবাদ জানাতে তারা রাস্তায় নেমেছেন। সারাদেশের শিক্ষার্থীদের ওপরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি ও হত্যার প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছেন। এসময় শিক্ষার্থীরা, জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো, স্বৈরাচারের গদিতে আগুন জ্বালো একসাথে, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায় ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। গণমিছিলে ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজধানীর প্রগতি সরণি সড়কে গণমিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। বিপুলসংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে তারা সড়কে নামেন। এদিকে মিছিল শুরুর পর থেকে আশপাশের দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। সড়কে যানবাহন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়।

শনিবার (৩ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে আন্দোলনকারীদের নামার কথা থাকলেও, দুপুর সোয়া ১টার দিকে বসুন্ধরা মেইন গেট ও যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সড়ক দখল করেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১টা ১০ মিনিটে কয়েক'শ শিক্ষার্থী বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার থেকে জড়ো হয়ে একটি মিছিল নিয়ে প্রগতি সরণি রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তাদের সঙ্গে আশপাশের ছড়িয়ে থাকা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিলে অংশ নেন এবং তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকদের যুক্ত হতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা যমুনা ফিউচার পার্কের গেট থেকে নর্দা ফুটওভার ব্রিজ পর্যন্ত সড়কের দুই পাশ দখল করে আন্দোলন করছেন। বিপুলসংখ্যক পুলিশ যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে আশপাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

আন্দোলনকারীদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনে নর্থসাউথ, ইনডিপেনডেন্ট, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল, ইউল্যাব, ইউআইটিইউ, নর্দান, প্রেসিডেন্সিসহ আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। বিক্ষোভে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অংশ নেন। জানতে চাইলে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, ‘ছাত্রসমাজের যৌক্তিক আন্দোলনে আমরা সমর্থন জানাতে রাস্তায় নেমেছি।’