০২ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৩৯

কারাগারে অসুস্থ আখতার, উদ্বিগ্ন স্ত্রী

ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়  © ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে গত বুধবার দুপুরের দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ চলাকালীন তাকে থেকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২ দিনের রিমান্ডে শেষে কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

আগে থেকেই তিনি অসুস্থ ছিলেন দাবি করে, আটকের পর থেকে কোনো সাক্ষাতের সুযোগ না দেওয়ায়, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার। আজ শুক্রবার ( ২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন আখতার হোসেনের স্ত্রী সানজিদা আখতার। 

তিনি বিবৃতিতে বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই দুপুর তিনটায় আমার স্বামী ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক, ঢাকা জজকোর্টের শিক্ষানবিশ আইনজীবী আখতার হোসেনকে বিনা ওয়ারেন্টে, কোনো অভিযোগ ছাড়াই, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে পুলিশ জবরদস্তিমূলকভাবে তুলে নেয়। তখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। পরবর্তীতে ১৮ তারিখ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সম্পূর্ণ অন্যায্যভাবে তাঁকে ২ দিন রিমান্ডে পাঠান মহামান্য আদালত। আমরা তাঁর বিষয়ে উদ্বিগ্ন।’ 

সানজিদা আখতার বলেন, ‘আজকে ১৫ দিন আমরা তাঁর (আখতার হোসেন) সাথে দেখা করতে পারছি না। দেখা করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বারবার দেখা করতে চেয়ে দেখা করতে পারিনি। তিনি কীভাবে আছেন, সুস্থ আছেন কি না, তার কিছুই জানা যাচ্ছে না। এমনকি জরুরি ওষুধও তাঁকে পৌঁছাতে পারছি না। গ্রেপ্তারে আগে থেকেই তিনি অসুস্থ। নিয়মিত ওষুধ খেতে হয় তাঁর।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। যা কারা আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। কারাগারে নয়, যেন নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে আখতার হোসেনকে। গত পনেরো দিনে তিনি ফোনকল করেননি একবারের জন্যও। অথচ, ন্যূনতম ফোনকলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারা প্রত্যেক বন্দীর অধিকার। আমার স্বামী, আখতার হোসেনকে সেই অধিকারটুকুও দেওয়া হচ্ছে না।’ 

সানজিদা আখতার বলেন, ‘আমাদের বিয়ের এক বছরও পূর্ণ হয়নি। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত শিক্ষার্থী। আখতার হোসেন আমার একমাত্র সম্বল। আমি তাঁর মুক্তি চাই। আপনারা তাকে আমার কাছে সহি-সালামতে ফিরিয়ে দিন। আমরা শুনতে পাচ্ছি-তাকে জেলে ২৪ ঘণ্টা লকাপে  বন্দী করে রাখা হচ্ছে। আখতার হোসেন অসুস্থ। তাঁর বাইরে হাঁটা-চলা শারীরিক ভারসাম্যের জন্য জরুরি। কোনো বন্দীকে এভাবে ২৪ ঘণ্টা নির্দিষ্ট কক্ষে আটকে রাখা বেআইনি এবং বৈষম্যমূলক।’