১৫ দিন ধরে আইসিইউতে তিনি, পরিবার খুঁজছে ঢামেক হাসপাতাল
নাম জানে না কেউ। কীভাবে কোথায় আহত হয়েছেন তাও জানে না কেউ। গত ১৫ দিনে শুধু আজ (০১ আগস্ট) একবার চোখ খুলেছেন। এখন পর্যন্ত পরিবারের কোনো সদস্য, আত্মীয়-স্বজন কিংবা সহপাঠী কেউ আসেনি তার খোঁজে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে গত ১৮ কিংবা ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার সময় কে বা কারা নিয়ে এসেছেন।
বার্ণ ইউনিট ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে এই রোগী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ণ এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের আইসিইউতে ৩ নাম্বার ওয়ার্ডে ৭ নাম্বার বেডে রয়েছেন। তার বাম চোখে গুলি লেগে চোখটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়াও মাথার সামনে থেকে পেছন পর্যন্ত সেলাই করা রয়েছে। গত ১৫ দিনে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম চোখ খুললেও কোন কথা বলতে পারছেন না। পরিবারের কারও নাম কিংবা ফোন নাম্বারও বলতে পারছেন না তিনি।
চিকিৎসারত এই রোগী সম্পর্কে দায়িত্বরত নার্স কিংবা চিকিৎসকগণও কেউ কিছু জানেন না। মানবিক দিক বিবেচনায় চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নার্স দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ছেলেটাকে দেখে মনে হচ্ছে তার বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মতো হবে। কিন্তু কীভাবে ঢাকা মেডিকেলে এসেছে কিংবা কে এনেছে, আমরা কোন কিছুই বলতে পারছিনা। গত ১৮ কিংবা ১৯ জুলাই সংঘর্ষ শুরু হলে কেউ হয়ত তাকে নিয়ে এসেছ। তখন থেকে ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এত পরিমাণ রোগী এসেছে যে কে কখন ভর্তি হয়েছে আমাদের সেসব দেখার মতো সময়ও ছিল না। ভর্তির পর থেকে ছেলেটার কোন সেন্স আসেনি। কেউ তার খোঁজ করতেও আসেনি। তার পরিবারের খোঁজ পেলে অন্তত নাম ঠিকানা জানা যেত। আমরা শুধু চিকিৎসা দিচ্ছি, কিন্তু কোন পরিচয় জানি না। কেউ তার পরিবারের খোঁজ দিকে পারলে তাদের সহযোগিতা করা যেত।