৩১ জুলাই ২০২৪, ২১:৫১

হাসপাতাল থেকে রিলিজ দিলে নেয়া হবে আদালতে

মেহেদী হাসান জুম্মান  © সংগৃহীত

চলমান কোটা আন্দোলনে গত ১৯ জুলাই রাত ৯টা ৫০ মিনিটে গুলিবিদ্ধ হয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি আছেন স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জুম্মন। সেদিন কোটা বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সময় রামপুরা এলাকায় একটি ফুটপাথে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। বিকেল ৪টার দিকে বেটার লাইফ হাসপাতালের কাছে তাকে আঘাত করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সদের মধ্যে কেউই গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন না। হাসপাতালের কেবিন নম্বর ২০৭/এ পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তাকে হাসপাতাল কর্মীদের ওপর কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেন তার সম্পর্কে কোনো তথ্য কাউকে না বলা হয়।

জানা গেছে তার 'টিবিয়া-ফাইবুলা'তে ফ্রাকচার হয়েছে। একটি গুলি তার ডান হাঁটুর কয়েক ইঞ্চি নিচে বিদ্ধ হয়েছে। অসহনীয় যন্ত্রণায় এখন হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন জুম্মন।

প্রথমে তাকে ওই এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে তাকে হলি ফ্যামিলিতে নিয়ে যাওয়া হয়।

বর্তমানে পুলিশ সদস্য মেহেদীর বিছানার চারপাশে পাহারায় আছেন। তবে তার চিকিৎসার বিষয়ে পরিচিত হাসপাতালের এক চিকিৎসাকর্মী জানান, তিনি এখন বিপদমুক্ত। তবে ইনফেকশনের জন্য ভারী ওষুধ দিতে হচ্ছে।

রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন 'বিটিভি কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলাসহ দুটি মামলায় মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 'এ কারণে পুলিশ সদস্যরা তাকে সার্বক্ষণিক পাহারা দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

হাসপাতাল কর্মীরা জানান, মেহেদীকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার পর থানায় নিয়ে যাওয়া হবে অথবা তাকে আদালতে হাজির করবে এমনটাই তারা পুলিশ সদস্যদের বলতে শুনেছেন।

এ বিষয়ে স্টামফোর্ডের এক শিক্ষার্থী জানান, আমরা আমাদের ভাইয়ের মুক্তি চাই আমাদের ভিসি স্যার ও প্রক্টর স্যার বলেছেন আমাদের পাশে আছেন এবং আমাদের যেকোন সমস্যায় তারা পাশে থাকবেন। আমরা খুব দ্রুত মেহেদীকে আমাদের পাশে চাই।