৩১ জুলাই ২০২৪, ১৬:৩৯

বরিশালে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ২৫

পুলিশের লাঠিচার্জ  © সংগৃহীত

‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে চার সাংবাদিকসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে ১০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩১ জুলাই) বেলা ১১টায় শহরের সদর রোডের অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ও জজ কোর্টের সামনে ফজলুল হক এভিনিউতে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুসারে এদিন সকাল ১১টার পর কাঠপট্টি সড়কের মুখে মিছিল করার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বেশ কয়েকজন অভিভাবকও ছিলেন। তবে কর্মসূচির শুরুতেই বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের বাদানুবাদ হয়। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে টানাহিঁচড়া করলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সিটি কলেজের গলির মুখে শিক্ষার্থীদের আটকে রাখে। পরে কয়েকশ আন্দোলনকারী সদর রোডে অবস্থান নিলে পুলিশ শুরুতে তাদের ধাওয়া দেয় ও পরে লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় ৪ সাংবাদিকসহ অনেকে আহত হন।

লাঠিচার্জে আহত সাংবাদিকরা হলেন- দৈনিক যুগান্তরের ফটোসাংবাদিক শামীম আহমেদ, যমুনা টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক হৃদয় চন্দ্র শীল, এনটিভি টেলিভিশনের ফটো সাংবাদিক গোবিন্দ সাহা, অনলাইন পোর্টাল বার্তা টোয়েন্টিফোরের তুহিন খান। লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সাংবাদিকরাও সদর রোডে কিছু সময় অবস্থান করেন। আহত সাংবাদিকরা শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এ সময় পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী এসে তাদের কর্মসূচিতে বাধা প্রদান করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসে ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করেন। শেষে শিক্ষার্থীরা আদালতের মূল ফটকের সামনে এসে জড়ো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা পুনরায় শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এসএম তানভীর আরাফাত বলেন, ‘বেশ কিছু শিক্ষার্থী কোর্ট এলাকায় এসে অবরোধ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালিয়েছে বলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়েছে।’