শেকৃবিতে ছাত্রলীগ সহপাঠীদের বয়কটের ডাক
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার পর ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত সহপাঠীদের বয়কটের ডাক দিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে এ বয়কটের ডাক দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষদের ও বিভিন্ন ব্যাচের মোট ৫ জন শিক্ষার্থীকে তাদের সহপাঠীরা ক্লাস ও পরীক্ষা থেকে বয়কটের ডাক দিয়েছে।
এর মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী নাদিরুজ্জামান নিশাদ কে কৃষি অর্থনীতি চতুর্দশ (কিম্ভূত চতুর্দশ) থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করেছে ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাদের ফেসবুক এক বিবৃতি থেকে জানা যায়, ‘আমরা আগেই বলে রেখেছি কেউ যদি এ নৃশংসতম কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে তবে সে আমাদের অস্তিত্বের অংশীদারত্ব হারাবে। নাদিরুজ্জামান নিশাত কে আমরা সজ্ঞানে ভেবে চিন্তে আমাদের বিভাগ থেকে, আমাদের ক্লাসের সমস্ত কার্যক্রম থেকে বহিষ্কৃত করলাম। যদি তার কার্যক্রমে নিজের বিবেকবোধ জাগ্রত হয় তবে আমরা পুনরায় একত্র হবো। তবে ততদিন আপনারা কেউ এই ব্যক্তিকে আমাদের বিভাগের হিসেবে আখ্যা দিতে আসবেন না।’
অন্যদিকে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম রাকিবকে (রেজিস্ট্রেশন: ১৯-০৯৮০৪) শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, হেনস্তা এবং আক্রমণের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকায় এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষার্থীরা তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে ক্লাসের সকল কার্যক্রম থেকে বয়কট করার ঘোষণা দেন।
বয়কট হওয়া বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন, এনিম্যাল স্যায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি অনুষদের ১০ ব্যাচের শিক্ষার্থী অস্মিত মজুমদার অর্ঘ্য, শেকৃবি কৃষি অর্থনীতিবিদ ছাত্র সমিতির সভাপতি আরিফুল আরিফ।
এছাড়া এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ৯ম ব্যাচের অজয় পালকে বয়কট করে সহপাঠীরা। এসময় তারা তাদের ফেসবুক পেজে বলেন, আমরা শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এনিম্যাল সায়েন্স এন্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন
অনুষদের ৯ম ব্যাচের শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমাদের ব্যাচমেট অজয় পাল সরাসরি ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকায় এবং এসব নিম্ন মানসিকতার কর্মকাণ্ডে সমর্থন করায় তাকে আমরা আমাদের ব্যাচ থেকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই মর্মে অজয় পাল আমাদের সাথে অ্যাকাডেমিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেনা।