১৮ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৩

‘কমপ্লিট শাটডাউন’: আন্দোলন পরিচালনায় ১০ নির্দেশনা সমন্বয়কদের

সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম  © ফাইল ছবি

নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের প্লাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ।

দেশব্যাপী এ আন্দোলন পরিচালনায় ১০ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। আন্দোলন পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, জেলা ও মহানগরে যারা আন্দোলন সমন্বয় করছেন সবাই সংগঠিত হওয়ার জন্য আলাদা করে সমন্বয়ক কমিটি তৈরি করুন। দল, মত নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণের সুযোগ রাখুন। সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করুন এবং সবার আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন। তবে আন্দোলনের স্বার্থে বিতর্কিত বা রাজনৈতিকভাবে প্রশ্ন উঠতে পারে এরকম কাউকে নেতৃত্ব পর্যায়ে রাখবেন না;

আন্দোলনকে কোনো একক বা মূল নেতৃত্বের উপর নির্ভরশীল করবেন না। সবসময় বিকল্প নেতৃত্ব প্রস্তুত রাখুন। প্রথম দিকের নেতৃত্বে উপর ঝামেলা হলেও তাহলে আন্দোলন স্তিমিত হবে না। নেতৃত্বে নতুন চেহারা আনার চেষ্টা  করুন;

ইন্টার্নালি সংগঠিত থাকুন। কিন্তু আন্দোলনকে কোনো সাংগঠনিক রুপ দেবেন না। কমিটিটা শুধু শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য। আন্দোলনের স্বতঃস্ফূর্ত চরিত্র যাতে বজায় থাকে। তবে কোনো পক্ষ অনুপ্রবেশ করে যাতে স্যাবোটেজ করতে না পারে এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। আন্দোলন সব সময় শান্তিপূর্ণ ও অহিংস হবে।

যে স্থানে কর্মসূচী করবেন সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যোগাযোগ করতে চাইলে তাদের সাথে কোঅপারেট করুন। কিন্তু সকল সিদ্ধান্ত আপনারাই নেবেন। কোনো ধরনের আপোষ করা যাবে না; সম্মিলিতভাবে আন্দোলন করার চেষ্টা করুন। জেলা বা মহানগরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করুন। এবং একসাথে বড় জমায়েত করার চেষ্টা করুন;

কারো উপর কোনো আঘাত বা হুমকি আসলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করুন। ভয় পাবেন না। পিছিয়ে যাবেন না। সামনে এসে কথা বলুন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নাই। আমাদের দাবি ও বক্তব্য সুস্পষ্ট ও যৌক্তিক;

বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে যুক্ত করুন। কর্মসূচীতে সাংস্কৃতিক আয়োজন রাখুন। জেলা ও মহানগরের নাগরিক সংগঠনগুলোর সাথে যোগাযোগ করুন। কর্মসূচীর আগে মাইকিং ও লিফলেটের মাধ্যমে ব্যাপক গণসংযোগ করুন। হলের রুমে রুমে, লাইব্রেরিতে প্রচার করুন;

মিডিয়া ও সংবাদকর্মীদের সাথে সুসম্পর্ক রাখুন। মিডিয়ার সামনে বুঝে শুনে কথা বলুন যাতে মূল বক্তব্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে। প্রোগ্রামে ও মিডিয়ায় আন্দোলনের সাথে সম্পর্ক নেই এরকম বক্তব্য বা স্লোগান দেবেন না; ঢাকার সাথে সমন্বয় করে কর্মসূচী রাখার চেষ্টা করুন। 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' ব্যানার যারা ব্যবহার করবেন তারা অবশ্যই ঢাকার সাথে আলোচনা করে নিবেন।

অর্থ সংগ্রহের জন্য সরাসরি ক্রাউড ফান্ডিং করুন। কোনো অনলাইন মিডিয়াম ব্যবহার করবেন না। অর্থের নিয়মিত হিসাব রাখুন এবং সমন্বয়ক টিমের কাছে হিসাব ক্লিয়ার রাখুন। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ নিবেন না৷ কারো কাছ থেকে বেশি অঙ্কের টাকা নিবেন না। রাজনৈতিক স্বার্থ আছে এরকম কারো কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহযোগিতা নেবেন না।